ফের বিষমদ কাণ্ডের ছায়া প্রতিবেশী রাজ্যে। তাও আবার সেই রাজ্যে, যেখানে কিনা সমস্ত প্রকারের মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। জানা গিয়েছে এনডিএ শাসিত বিহারের পশ্চিম চম্পারন এবং গোপালগঞ্জে সন্দেহজনক মদ খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন প্রচুর মানুষ।গত দু’দিনে এই ঘটনা ঘটেছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ৪ নভেম্বরের পর মদ খেয়ে মারা গিয়েছেন আটজন ব্যক্তি। ওই আটজনই বেটিয়াহের তেলহুয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্য একটি জেলা গোপালগঞ্জেও বেড়েছে এই ধরনের সন্দেহজনক মৃত্যুর সংখ্যা। সেখানে সবমিলিয়ে মারা গিয়েছেন ১৬ জন। যদিও এই মৃত্যু যে বিষ মদ খেয়েই হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে বলেনি দুই জেলার প্রশাসন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত দশদিনে এই নিয়ে তৃতীয়বার এধরনের মৃত্যু হল উত্তর বিহারে৷ রাজ্যের মন্ত্রী জনক রাম ইতিমধ্যেই ছুটে গিয়েছেন গোপালগঞ্জে। পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তিদের মৃত্যু সন্দেহজনক মদ খেয়ে হয়েছে। তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম আমি। আমাদের সরকারের বদনাম করতে এটি একটি ষড়যন্ত্র হতেই পারে৷’
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট আনন্দ কুমার বলেন, ‘ মহম্মদপুর গ্রামেও কিছু ব্যক্তি এই ধরনের সন্দেহজনক উপসর্গ নিয়েই মারা গিয়েছেন। এখনও অটোপসি রিপোর্ট এসে পৌঁছোয়নি। তাই তাদের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে তিনটি দল এর তদন্ত করছে।’ স্থানীয় পুলিশ জানায়, কিছু ব্যক্তির অন্তেষ্টিক্রিয়া করে ফেলেছে তাদের পরিবার৷ চিকিৎসারত অবস্থাতেই মারা যায় চারজন। দু’জন আবার মারা যায় হাসপাতালে পৌঁছোনোর পথেই।
এই কাণ্ডে চারজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ৷ ২ ও ৩ তারিখ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে মূলত শিডিউল কাস্ট সম্প্রদায়ভুক্ত ২০ জন এই পানীয় খেয়েছিলেন। স্থানীয় মদ বিক্রেতাদের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন সেটি।