রাজ্যের ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপিকে হোয়াইট ওয়াশ করেই ফের একবার কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন৷ এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তেইশ বছর বয়সিকে দাদু-ঠাকুমারা বলে দেবেন কী করতে হবে, সেই দিন আর নেই৷’ একই সঙ্গে ডেরেক আরও বলেছেন, ‘বাংলার বাইরেও যে বিজেপিকে হারানো সম্ভব এই উপনির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে৷’
কংগ্রেসের নাম না করেই ডেরেক বলেন, ‘বিজেপিকে হারাতেই হবে৷ কিন্তু তার জন্য মনোভাব বদলের প্রয়োজন৷ আমাদের দলের বয়স মাত্র বাইশ-তেইশ বছর, আর অন্য দলটার বয়স ১০০ বছর বলেই দাদু-ঠাকুমার মতো তারা আমাদের বলে দেবে কী করতে হবে, এটা হতে পারে না৷ আমরা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-সহ গোটা বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে প্রস্তুত৷ তাই সবাই মিলে কাজ করতে হবে, শুধু আমাদের ওপরে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে হবে না৷’
ডেরেক মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় ২৯৪টি আসনেই একা লড়েছিল তৃণমূল৷ সেখানে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট বেঁধে লড়েও শূন্য আসন পেয়েছে৷ ডেরেকের মতে, বিরোধী ঐক্য নিয়ে বার বার কথা না বলে আগে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা, কর্মসংস্থানের অভাব, স্বাধীন ভাবে মতপ্রকাশে বাধার মতো বিষয়গুলিকে সামনে নিয়ে আসা উচিত৷ তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘এই উপনির্বাচনে একটা বিষয় পরিষ্কার, সেটা হল এই যে বিজেপি, নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে হারানো সম্ভব৷’
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা এবং গোয়ায় ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল৷ ডেরেকের দাবি, ক্ষণস্থায়ী নয়, দুই রাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের৷ গোটা দেশেই উপনির্বাচনে বিজেপির ফল বেশ হতাশাজনক৷ বিশেষত হিমাচলে কংগ্রেসের কাছে ৩ বিধানসভা এবং একটি লোকসভা আসনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি৷ পাশাপাশি দাদরা এবং নগর হাভেলি লোকসভা আসনটিও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে শিবসেনা৷ ডেরেক বলেন, ‘শিবসেনা লোকসভা আসনে জয়ী হওয়ায় আমরা খুবই উৎসাহিত৷ হিমাচলেও বিজেপি নিজেদের আসন ধরে রাখতে পারেনি৷ সবমিলিয়ে বিজেপির জন্য দিনটা বেশ খারাপ ছিল৷’