আমজনতার নাভিশ্বাস তুলে দেশজুড়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জ্বালানির দাম। পেট্রোলের দর আগুন। ডিজেল সেঞ্চুরি করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। জ্বালানির খরচ বাঁচাতে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারেরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। নবান্নের তরফে ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি মিলেছে আগেই। দরপত্রের প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৈদ্যুতিক গাড়ি লিজ নেওয়া হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি ২২৬টি গাড়ি আসবে পুলিশের হাতে। কলকাতা পুলিশের হাতে চার হাজারের বেশি গাড়ি রয়েছে। সেগুলির মধ্যে অন্তত ২০০টি গাড়ি প্রায় ১৫ বছরের পুরনো। এই পুরনো গাড়িগুলি বাতিল করে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি রাস্তায় নামানোর ওপর জোর দিচ্ছেন পুলিশকর্তারা। বৈদ্যুতিক গাড়িতে যেমন জ্বালানির খরচ বাঁচবে, তেমনি রেহাই মিলবে বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণের হাত থেকেও।
উল্লেখ্য, পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবহার কমাতে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত অনেকদিনেরই। পেট্রল, ডিজেল গাড়ির থেকে কোনও অংশে কম যায় না বৈদ্যুতিন গাড়ি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার অনেক বেশি কার্যকরীও। দূষণ ও তেলের আমদানি খরচ কমাতে দেশের রাস্তায় যত দ্রুত সম্ভব বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর উপরে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। তেমন সময় বেঁধে না দিলেও, গত বছরের বাজেটে ওই গাড়ির চাহিদা বাড়ানোর পথে হাঁটতেও দেখা গেছে তাদের। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, প্রায় আট কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য। ২২৬টি গাড়ি আট বছরের জন্য লিজ নেওয়ার কথা হয়েছে সরকারি সংস্থা ইসিএলের সঙ্গে। এই গাড়ি সরবরাহের দায়িত্ব টাটার। গাড়িগুলি যাতে দ্রুত লালবাজারের হাতে পৌঁছয় সে জন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রাখবেন অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার একজন অফিসার। কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলছেন, ডিজেল এখন লিটার প্রতি ১০০ টাকা। বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য বিদ্যুতের খরচ হবে প্রতি কিলোমিটারে ৯০ পয়সা করে। অন্যদিকে, পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়ির জন্য প্রতি কিলোমিটারে খরচ হবে সাড়ে ৮ টাকা করে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করলে আগামী আট বছরের মধ্যে প্রায় ৪০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।