বাংলার আঠারো-ঊর্ধ্ব প্রতি চারজন বাসিন্দার তিনজনই পেয়ে গিয়েছেন করোনা টিকার প্রথম ডোজ। প্রায় প্রতি তিনজনের একজন পেয়েছেন দু’টি ডোজই। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। দপ্তর সূত্রের খবর, বর্তমানে বাংলার ৭৭ শতাংশ ১৮ ঊর্ধ্ব বাসিন্দাই, পেয়েছেন প্রথম ডোজের করোনা টিকা। অন্যদিকে ৩০ শতাংশ পেয়েছেন দু’টি ডোজ। রাজ্যের ২০টির বেশি জেলায় ৭০ শতাংশের বেশি প্রথম ডোজের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। অন্তত ৮টি জেলায় প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন ৮০ শতাংশ মানুষ। প্রথম ডোজ টিকাকরণে এখনও প্রথম কলকাতা। শহরের ১৪২ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন প্রথম ডোজ। দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলাতেও প্রথম ডোজের টিকাকরণের হার যথেষ্ট ইতিবাচক। এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে এদিন আরও একটি আশার খবর জানা গিয়েছে। ১৬ঈ জানুয়ারি টিকাকরণ অভিযান শুরুর পর থেকে মাসিক টিকাদানের নিজেরই আগের সমস্ত রেকর্ড ভাঙল বাংলা।
চলতি অক্টোবর মাসে রাজ্য প্রায় ২ কোটি (১.৯৯ কোটি) টিকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যবাসীকে। আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে টিকাকরণ বেড়েছিল প্রায় ৪০ লক্ষ। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে তা বেড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ। অনেকে জানতে চেয়েছেন, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাতেই যেহেতু ৬৫ শতাংশ মানুষের বসবাস, তাই গ্রামাঞ্চলে টিকাকরণ কেমন হচ্ছে? রাজ্যের হেলথ ডিরেক্টরেটে টিকাকরণের শীর্ষকর্তা ডাঃ অসীম দাস মালাকার বলেন, “১লা এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত যা টিকাকরণ হয়েছে, তার মধ্যে ৬৩ শতাংশ হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ৩৫ শতাংশ হয়েছে শহরাঞ্চলে।” এদিকে রবিবার স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন থেকে আরও একটি ইতিবাচক খবর মিলেছে। টানা পরপর ক’দিন ২ এমনকী ৩-এর ঘরে পজিটিভিটি থাকার পর ফের রাজ্যের করোনা পজিটিভিটি ২-এর নীচে নামল। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের করোনা পজিটিভিটি ছিল ১.৯৩ শতাংশ। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯১৪ জন। মারা গিয়েছেন ১৫ জন। পরীক্ষা হয়েছে ৪৭ হাজার ৪১৭ জনের। কলকাতায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭৪। শুধু সেখানেই মারা গিয়েছেন ৬ জন। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাতেও। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪৪ জন। শহর লাগোয়া আরও দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৭৫ এবং ৭৩ জন।