নেই কোনো পরিবর্তন। তালিবান আছে তালিবানেই। আগস্টে আফগানিস্তান দখলের পর যতই মুখে আপাত শান্তির বাণী দিক জেহাদিরা, তাদের নির্মমতায় যে এতটুকু বদল আসেনি তার প্রমাণ ফের মিলল। আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ শনিবারই টুইটারে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, একটি বিয়েবাড়িতে গান থামাতে ১৩ জনকে হত্যা করেছে তালিবান। এই ধরনের নৃশংস আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে স্রেফ নিন্দাই যথেষ্ট নয় বলেও সকলকে জানিয়েছেন সালেহ। সেই সঙ্গে সকলকে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কেবল তালিবান নয়, আফগানিস্তানের বর্তমান দুরবস্থার জন্য পাকিস্তানকেও দায়ী করেছেন সালেহ। তাঁর মতে, এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে পাকিস্তানই। ঠিক কী লিখেছেন তিনি? প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, “নেনগারহার প্রদেশে একটি বিয়েবাড়িতে গান বন্ধ করতে ১৩ জনকে মেরে ফেলেছে তালিবান। কেবল নিন্দা করে রাগ দেখানোই যথেষ্ট নয়। গত ২৫ বছর ধরে পাকিস্তান ওদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে কী করে আফগান সংস্কৃতিকে ধ্বংস কর যায়। পাশাপাশি ধর্মান্ধতার প্রয়োগ করে আইএসআই আমাদের জমি দখল করতে চেয়েছে। আর সেটায় ওরা এখন পুরোপুরি সফল। এই রাজত্ব টিকবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যতদিন এটা থেকে যাবে আফগানদের এর মূল্য চুকিয়েই যেতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তখন থেকেই গোটা বিশ্বের নজর পড়ে কাবুলের উপরে। গত দু’দশক সেদেশে থাকার পর মার্কিন সেনা সরতেই নতুন করে আফগান মুলুকে ক্ষমতা কায়েম করে জেহাদিরা। আর তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ফের ধর্মান্ধ জঙ্গীদের হাতে সাধারণ মানুষের অসহায় অবস্থায় শিউরে উঠেছে সকলেই। এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই তালিবানের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। কেবল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রসংঘে জঙ্গিদের পক্ষে সওয়াল করার পাশাপাশি পাকিস্তানের আফগান দূতাবাসে তালিবান রাষ্ট্রদূতদের ঢোকার অনুমতি দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তালিবানের নারকীয় আচরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে বিতর্ক আরও উসকে দিলেন সালেহ।