একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বিস্তার এবং নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা। আগামী বছর গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই সেখানে কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলার শাসক দল৷ যার ফলস্বরূপ বৃহস্পতিবার গোয়ায় পা রেখেই কালো পতাকা দেখতে হয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতার যাত্রাপথে জয় শ্রীরাম লেখা পোস্টার, হোর্ডিংও লাগিয়ে রাখারও অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে৷ যদিও তৃণমূল শিবির এতে নিজেদেরই জয় দেখছে৷ দলের নেতারা বলছেন, মমতার গোয়া সফরে যে বিজেপি ভয় পেয়েছে, এসব তারই প্রমাণ৷ শুক্রবার মমতা নিজেও বলেন, ‘আমি আসার সময় আমাকে কালো পতাকা দেখিয়েছে। গো ব্যাক বলেছে। আমি সকলকে নমস্তে করেছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দিল্লির দাদাগিরি এখানে চলবে না।’ এরপরই তিনি যান পাঞ্জিমের একটি মাছ বাজারে। সেখানে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গোয়ায় ভোটেও বাংলার মতো মহিলাদের দিকেই টার্গেট করেছে তৃণমূল। একইসঙ্গে মৎস্যজীবীদেরও পাশে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁরা। গোয়ার একটা বড় অংশ এই মৎস্যজীবী পেশার সঙ্গে যুক্ত। খুব স্বাভাবিক কারণেই প্রথম সফরেই গোয়ার মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়োনোর বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন তিনি মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘গোয়ায় মৎস্যজীবীরা বিপদে রয়েছে। কেউ দেখার নেই। কিন্তু তৃণমূল আপনাদের জন্য ওয়েলফেয়ার কমিটি গড়ে দেবে। আমাদের ম্যানিফেস্টোতেও আপনাদের দাবি-দাওয়ার সমস্ত বিষয় থাকবে।’ রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, প্রথম গোয়া সফরেই যেভাবে মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেত্রী, তার মধ্যে সুনিপুণ ভোট-অঙ্কই লুকিয়ে আছে। এদিন, মৎস্যজীবীদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি গোয়ার নাগরিকল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন মমতা। বিকালে গোয়ার তিনটি মন্দিরেও যাবেন তিনি। সবমিলিয়ে গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরকে নিয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতেতেও প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছে৷