দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্টে অংশ না নিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য। ১৮ অক্টোবর জারি হওয়া সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রেশন ডিলাররা। কিন্তু সেই শুনানিতেও ধাক্কা খেলেন ডিলাররা। বিজ্ঞপ্তি বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। যার জেরে স্বস্তিতে রাজ্য।
চলতি মাসে রাজ্যের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, দুয়ারে রেশন রাজ্যের পাইলট প্রজেক্ট। তাতে অংশ না নিলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে আদালতে যান রেশন ডিলাররা। তাঁদের আবেদনের শুনানি ছিল সোমবার।
এদিন বিচারপতি সরাফ প্রশ্ন তোলেন, ‘রাজ্য কি কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে’? সেরকম কোনও নিদর্শন দেখাতে পারেননি রেশন ডিলাররা। এর পরই বিচারপতি আরও বলেন, ‘রাজ্য যখন কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি, তাহলে আদালত আগাম পদক্ষেপ করবে? রাজ্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতেই পারে। কী ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা দেখে তবেই আদালত ব্যবস্থা নেবে’। বিচারপতির এই অবস্থানে আরও স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরুর নির্দেশ দিতেই প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কিছু রেশন ডিলার। মামলাকারী রেশন ডিলারদের দাবি ছিল, ‘রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্প কেন্দ্রীয় রেশন বণ্টন আইনের পরিপন্থী। প্রকল্পটি একাধারে খরচ সাপেক্ষ। সেই সঙ্গে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ও কর্মচারী প্রয়োজন, তাও অধিকাংশ রেশন ডিলারদের কাছে নেই’। পুজোর আগে হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, পরবর্তীকালে যদি দেখা যায়, রাজ্য সরকার আইন না মেনে এই প্রকল্প চালু করছে, তখন ডিলাররা আদালতে আসতে পারেন। এই নির্দেশিকার পরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন রেশন ডিলারদের একাংশ।