বজরং দলের লোকজন রবিবার প্রকাশ ঝা’র ওয়েব সিরিজের নাম কেন ‘আশ্রম’ হবে, প্রশ্ন তুলে সেটে তুলকালাম, ভাঙচুর করার পর আসরে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। কার্যতঃ বজরং দলের মারমুখী আচরণ, তাদের ওয়েব সিরিজের নাম বদলের দাবি সমর্থন করে তিনি ট্যুইট করেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের টেলিভিশন কনটেন্টের মাধ্যমে ওয়েব সিরিজের নামে ইচ্ছে করে হিন্দুধর্মকে টার্গেট করা হচ্ছে। সংখ্যাগুরু সমাজের ভাবনা মাথায় রাখুন। প্রকাশ ঝার তাঁর ওয়েব সিরিজের আশ্রম নাম বদলের কথা ভাবা উচিত।
বজরং দলের দাবি প্রসঙ্গে মিশ্র বলেন, আমিও তা সমর্থন করি। কেন ওয়েব সিরিজের নাম আশ্রম হবে? অন্য ধর্মের নাম রেখে দেখুক, কী পরিণতি হয়। ভাঙচুর করা অন্যায় হয়েছে মনে করি। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু ঝা সাহেব, আপনার নিজের ভুলটাও দেখুন।
আবারও বলছি, সিরিজের নাম আশ্রম রাখা চলবে না, নয়তো ভোপালে শ্যুটিং হবে না। আশ্রম ১, আশ্রম ২ এর পর এখন আশ্রম ৩ এর শ্যুটিং হচ্ছে। প্রকাশ ঝা আশ্রমে দেখিয়েছেন, গুরু মহিলাদের সম্মানহানি করছেন। গির্জা বা মাদ্রাসার ওপর এরকম ছবি করার সাহস আছে ওঁর!
এদিকে সমকামী দম্পতির করোয়া চৌথের ডাবরের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রী। বলেছেন, এটা সিরিয়াস ব্যাপার। ডিসিপিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বিজ্ঞাপনটি তুলে নিতে বলা হবে, নইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিশ্র জানিয়েছেন, আশ্রম-৩ এর শ্যুটিংয়ে বিতর্কের পর আমরা একটা স্থায়ী গাইডলাইন জারি করব। এবার প্রডিউসার, ডিরেক্টরকে যে কোনও ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করা দৃশ্যের শ্যুটিং করতে হলে অনুমতি চাওয়ার আগে প্রশাসনের কাছে স্ক্রিপ্ট জমা দিতে হবে।
গতকাল ঝায়ের সেটে তাণ্ডব চালিয়ে বজরং দলের নেতা সুশীল সুরহেলেও ওয়েব সিরিজের নাম বদলের দাবি করে বলেছিলেন, আমরা আজ শুধু এখানে প্রতিবাদ জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম। প্রকাশ ঝা বলেছেন, নাম বদলের ব্যাপারে কথাবার্তা বলছেন।