ভোট প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যবাসীকে ‘দুয়ারে রেশন’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যেই পূরণের পথে। কিন্তু এর মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল কিছু অনিচ্ছুক ডিলার। তবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে আদালতে ফের স্বস্তিতে রাজ্য। অনিচ্ছুক ডিলারদের আবেদন ফেরাল হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের দুয়ারে রেশন প্রকল্পের বিরোধিতায় দায়ের করা মামলা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। এই অবস্থায় গত পরশু এই প্রকল্পের স্থায়ীকরণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ফের আজ আদালতের দ্বারস্থ হন ডিলারদের একাংশ। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানান তাঁরা। সেই আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসেই আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বন্ধ করা হচ্ছে না দুয়ারে রেশন প্রকল্প। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়ার যে প্রকল্প রাজ্য চালু করেছে তাতে সীলমোহর দেয় আদালত। দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন রেশন ডিলার। আগেই সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
রেশন ডিলারদের বক্তব্য ছিল, এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার ফলে, ডিলারদের ওপর চাপ বেড়েছে। ডিলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসতে হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য তাঁরা সরকারের থেকে আলাদা করে কোনও সাহায্যই পাচ্ছেন না। এই কারণেই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যাতে দুয়ার রেশন প্রকল্পের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
উল্টোদিকে, রাজ্যের বক্তব্য ছিল, দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে কেমন কাজ হচ্ছে, কতটা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, সেই সব দিক খতিয়ে দেখে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আগামী দিনে তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা। প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে রাজ্যের রেশন সংক্রান্ত আইনে সংশোধন করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কার্যত রাজ্যের সেই কথার ওপরেই সিলমোহর দেন।