উত্তর-পূর্বের রাজ্য দখলের পরে, এবার তৃণমূলের নজরে দেশের পশ্চিমাঞ্চল। তৃণমূল শিবির সূত্রে খবর, আরব সাগরের পাড়ে জোড়া ফুল ফোটাতে তৎপর তারা। আগামী বছর ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ভোট। সেখানেই আসন দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে আজ, সোমবার ‘ইলেকশন ক্যাম্পেইন’ শুরু করবে তৃণমূল।
এদিন দুপুরে পানাজিতে এই ক্যাম্পেন লঞ্চ করবেন সাংসদ সৌগত রায়, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক’ও ব্রায়েন এবং বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূল যে যে বিষয়ে গোয়াতে বিজেপি বিরোধিতায় মানুষের কাছে যাবে, তা নিয়ে সাত দফা ইস্যু বা বিষয় নির্বাচন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, গোয়ার মানুষ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাননি। ভ্যাকসিন পেয়েছে বলে যে সংখ্যা দেখানো হচ্ছে, তা আসলে পরিযায়ী ও পর্যটকদের সংখ্যা ধরে।
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলেও অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত সরকার ৮৬% অপরাধের তদন্তে সাফল্য পেয়েছে, যা দেশের মধ্যে সেরা বলে দাবি করছে তাঁরা। তৃণমূলের বক্তব্য এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অপরাধ আটকানো যায়নি, এমনকি নারীরাও নিরাপদ নয় গোয়ায়। কর্মসংস্থান নিয়েও নজর নেই বিজেপি-র। চাকরি হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলেও দাবি করেছে তৃণমূল।পানীয় জলের সংকট থেকে গিয়েছে বলে অভিযোগ এ রাজ্যের শাসক দলের। বাংলায় যখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পৌছে গিয়েছে, তখন গোয়ায় একাধিক সামাজিক স্কিমে সুবিধা মিলছে না। এমনকি প্রাপ্য অর্থ পেতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লেগে যাচ্ছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক হাল অত্যন্ত খারাপ বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। সিএজি রিপোর্টকে হাতিয়ার করতে চাইছে তাঁরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সিদ্ধি নায়ক খুনের ঘটনা। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ আনছে তৃণমূল। এই সাত ইস্যুকেই সামনে রেখে লড়াই শুরু করছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল।