একেবারে দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে উপনির্বাচন। এর মধ্যে বিজেপি শিবিরে একের পর এক হতাশার ছবি সামনে আসছে বার বার। দিন কয়েক আগেই শান্তিপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় দেখা যায় একেবারে সারি সারি ফাঁকা চেয়ারের ছবি। অন্যদিকে কাটোয়ার দাঁইহাটে সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ আসার আগেই তুমুল কোন্দল দেখা যায় দলীয় কার্যালয়ে। এসবের রেশ কাটেনি এখনও। এসবের মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, কাটোয়ার দাঁইহাটে বিজেপির দুইয়ের হাড়ি ভেঙেছে। দলকে এককাট্টা করতে না পারলে সামনের উপনির্বাচনে আবারও ৪-০তে হারবে বিজেপি। এর সঙ্গে একেবারে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি আবার হারবে। নির্বাচনের নির্দিষ্ট দিনের আগেই জানিয়ে দেব কোথায় কত ভোটে হারবে। প্রকৃত অর্থেই হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন জয়। দলের নয়া সভাপতির কাছে তাঁর দাবি, দলের নীচু তলার কর্মীদের ক্ষোভ , দুঃখ একটু বুঝুন।
কাটোয়ায় কোন্দল প্রসঙ্গে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সামনে যে মারপিটের ঘটনা হয়েছে তা সত্যি লজ্জাজনক। তারা এসে কী দেখলেন, কর্মীরা একে অপরের গায়ে হাত তুলছেন, থাপ্পড় মারছেন। এতে আসলে দলের নেতাদের কাছেই নয়, মানুষের কাছে নেগেটিভ বার্তা গেল। তাঁর দাবি, বিজেপির কিছু রাজ্য নেতা লোভী হয়ে গিয়েছেন। কিছু নেতা আছেন যারা বিভিন্ন জেলাতে নিজেদের কিছু চর ঢুকিয়ে রেখেছেন। যারা দলের ভেতরের সব খবর তাদের দেন। এই সব নেতাই রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করে দলটাকে ডুবিয়ে দিচ্ছেন। জয় বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আফশোস, কোথায় ২০১৪ সালের বিজেপি আর এখনকার বিজেপি।