দেশজুড়ে উৎসবের মরশুমের মধ্যেই বারংবার হামলার ঘটনা ঘটেছে উপত্যকায়। রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের জঙ্গীদের সন্ধানের শুরু হয়েছিল চিরুনি তল্লাশি। আর যৌথবাহিনীর সেই লাগাতার অভিযানের ফলস্বরূপ দু’সপ্তাহে নিকেশ হল ১৭ জেহাদি। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদীদের সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে।
বুধবার সন্ধে থেকেই কাশ্মীরের সোপিয়ান ও কুলগামে গুলির লড়াই চলছিল। জোড়া এনকাউন্টারে চারজন জেহাদি নিকেশ হয়েছে বলে খবর। তাদের মধ্যে দুজন আবার লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার। প্রথম জন হল আদিল ওয়ানি। সে লস্করের শাখা সংগঠন টিআরএফের শোপিয়ানের জেলা কমান্ডার ছিল। ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকেই উপত্যকায় সক্রিয় ছিল সে। সম্প্রতি কাশ্মীরে ভিনরাজ্যের কাঠমিস্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল আদিল। শোপিয়ানের দ্রাগদে এলাকায় এই অভিযানে তার এক শাগরেদকেও খতম করে বাহিনী।
নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে কুলগাম এলাকায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। সেখানেও সেনার গুলিতে খতম হয় লস্করের আরেক শীর্ষ কমান্ডার। নাম গুজার আহমেদ রেশি। কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযানে কুলগামে লস্করের শীর্ষ কমান্ডার-সহ মোট ২ জন জেহাদি খতম হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৭ তারিখ ওয়ানফো এলাকায় বিহার থেকে আসা এক শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল জেহাদিরা। যার মূল চক্রী ছিল রেশি। কুলগাম এনাকাউন্টারে তার আরেক সঙ্গীকেও নিকেশ করেছে যৌথবাহিনী।
এদিকে লস্কর, হিজবুল, অল বদর-সহ একাধিক জঙ্গী সংগঠনকে ক্রমাগত সহযোগিতার অপরাধে উপত্যকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় দিনভর তল্লাশি চালায় তারা। ধৃতরা হল কুলগাম বাসী সুহেল আহমেদ ঠোকার এবং শ্রীনগরের বাসিন্দা কামরান আশরাফ রেশি, রইদ বশির এবং হানান গুলজার দার।