ত্রিপুরায় আবার আক্রান্ত তৃণমূল। পশ্চিম ত্রিপুরার খয়েরপুরে তৃণমূল কর্মী দুলাল দাসকে আক্রমনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
পশ্চিম ত্রিপুরার খয়েরপুরের বনিক্কা চৌমহনিতে তৃণমূল কর্মী দুলাল দাসকে আক্রমনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। লক্ষ্মী পুজোর আগেরদিন রাতে তার দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় এবং তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দুলাল দাস জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমি যখন দকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিলাম তখন কিছু বিজেপি কর্মী আমার দোকানের সামনে এসে আমায় মারধর করে এবং হুমকি দেয় যেন আমি আর তৃণমূল না করি”।
অন্যদিকে খোয়াই জেলার জাম্বুরা গ্রামে আরেক তৃণমূল কর্মী সুশিল মোদক এবং তার পরিবারের উপরেও আক্রমনের খবর পাওয়া গেছে। সুশিল মদকের স্ত্রী এবং পুত্রকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে যে সুশীল মোদকের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সুশিল মোদক এবং দুলাল দাস দু’জনকেই হাস্পাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, ‘বিজেপির গুন্ডারা বিরোধী কর্মীদের উপর হামলা করছে কারণ তারা জানে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে না। ১০ জনেরও বেশি বিধায়ক, পুলিশ অফিসার, এমনকি বিডিওরাও গুন্ডাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। ত্রিপুরায় জঙ্গল রাজ চলছে। থানাগুলিও বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নিতে অস্বীকার করছে’।
তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তলা হচ্ছে বিরধিদের উপরে ঘটে চলা এই হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব চুপ কেন? এবং আরও বলা হচ্ছে যে পুলিশ কেন এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না? বিরোধীরা মনে করছেন যে ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলার অবস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে এবং এতকিছুর পরেও সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করছে না।