তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজেও তা চাইলেও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সময় পাচ্ছিলেন না। অবশেষে আজ, মঙ্গলবার আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আর ইস্তফা দিয়েই শুভেন্দুকে তুলোধনা করলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলে যোগদানের পরই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলে বাবুল। সেইমতো স্পিকারের কাছে সময় চান তিনি। তাঁকে চিঠি লিখে, দিল্লী গিয়ে দেখা করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু স্পিকার ব্যক্তিগত কাজে থাকায় বাবুলকে সময় দিতে পারেননি। অবশেষে প্রায় দু’মাস পর তাঁকে মঙ্গলবার সময় দেন ওম বিড়লা। সেই মতোই আজ তাঁর বাসভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাবুল জানান, সাংসদ পদ ধরে রাখা অনৈতিক মনে হয়েছিল বলেই ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর নিজেকে যেন অনেকটা মুক্ত বলে উপলব্ধি করছেন তিনি। এরপরই শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নৈতিকভাবে ঠিক থাকতেই সাংসদ পদ ছেড়ে দিলাম। শুভেন্দুর বাবারও উচিত সেটাই করা। শুভেন্দু যেন ওঁর বাবাকে গিয়ে উপদেশগুলো দেন।’