দুর্গাপুজো ঘিরে সাম্প্রদায়িক হিংসায় অশান্ত বাংলাদেশ। রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালি-সহ সে দেশের একাধিক জায়গা। ওপার বাংলায় মৌলবাদীদের তাণ্ডব নিয়ে এবার সরব এপার বাংলার বিশিষ্টজনেরাও। এ রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, লেখক থেকে রূপোলি জগতের ব্যক্তিত্ব, সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনা সরকারকে একটি আবেদনপত্র লিখে এই হিংসার ঘটনার যথাযত ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়েছেন এপার বাংলার বিদ্বজ্জনদের একাংশ। আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ৬০ জন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে, পবিত্র সরকার, বরেন্দু মণ্ডল, কুন্তল মুখোপাধ্যায়ের মতো শিক্ষাবিদের। রয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্য, লেখক নবকুমার বসু, কৌশিক সেন, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদার, রিদ্ধি সেন, ঋত্বিক চক্রবর্তীর মতো অভিনেতা, পরিচালকরাও রয়েছেন।
তাঁরা লিখেছেন, কুমিল্লার একটি পুজো মণ্ডপে কোরান শরিফ রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায়। এই ঘটনা পরে সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ নেয়। একাধিক পুজোমণ্ডপ ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আবেদনপত্রে স্বাক্ষরকারীরা লিখেছেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় দুর্গাপুজো ভালভাবে পালনই করতে পারেননি। এই হিংসা ছড়ানোর জন্য যারা দায়ী তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিক সরকার। প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, গাজিপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ এবং মৌলবীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটতে শুরু করে। দুর্গাপুজো মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্দির এমনকি ইস্কনের মন্দিরেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর চালানো হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরেও। ফেনি জেলা থেকেও হিন্দুদের দোকানপাট, মন্দির ভাঙচুর, লুঠপাট হওয়ার খবর এসেছে।