উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গো-মাংস গুজব ছড়িয়ে মহম্মদ আখলাখকে গণপিটুনির ঘটনার প্রধান তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন বুলন্দশহরের পুলিশ ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং। সেই কারণেই গভীর চক্রান্ত করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করলেন খোদ সুবোধ সিংয়ের বোন।
পুরো ঘটনার পেছনেই বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর বীর দাদাকে শহিদ ঘোষণা করার দাবিও জানিয়েছেন। সরকারের গাফিলতির তীব্র নিন্দা করে সরকারি কোনও আর্থিক সাহায্য তাঁদের পরিবার নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বরং শহিদ দাদার স্মৃতিতে একটি সৌধ তৈরি হোক। এমনই ইচ্ছে তাঁর।
তবে এই চক্রান্তের বিরোধীতা করে নিজের ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছেন মৃত সুবোধ সিংয়ের বোন। যোগী প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, গো-রক্ষার নামে হত্যালীলা ছাড়া আর কিছুই করছেন না উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
প্রসঙ্গত, দাদরিতে প্রথম গোরক্ষক জঙ্গিদের বলি হয়েছিলেন আখলাখ। সেই হিংসারও সঠিক কোনও প্রমাণ ছিল না। গোমাংস উদ্ধার হয়েছে গুজবেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল আখলাককে। এবারও সেরকমই একটি ঘটনা ঘটে। জঙ্গলের মধ্যে গোমাংস উদ্ধার হয়েছে, এমন খবর দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়তেই অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপরই জঙ্গি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি তান্ডব চালায় গোটা বুলন্দশহরে।
ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলও। ৪০০ লোক কীভাবে থানার চারপাশে জড়ো হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুবোধ সিংয়ের বোনের মতো তিনিও অভিযোগ করেন, আগাম পরিকল্পনা নিয়েই এতজন লোক একসঙ্গে এক জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন।