বড়সড় বিপাকে পড়লেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। জাতিবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য হরিয়ানায় হিসারের পুলিশ আধিকারিকরা রবিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। গত বছর রোহিত শর্মার ইনস্টাগ্রামে একটি লাইভ সেশনে এসে যুজবেন্দ্র চাহালের উদ্দেশে জাতিবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন যুবরাজ। এরপরই তাঁর নামে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই তাঁকে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, “আমি কখনওই জাত-পাত, বর্ণ কিংবা লিঙ্গের ভেদাভেদে বিশ্বাসী নই। আমি প্রতিটি মানুষকে সমানভাবেই দেখি ও তাঁদের হিতে কাজ করার চেষ্টা করি। নিঃস্বার্থে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই জীবন।” যদিও যুবির নিঃশর্ত ক্ষমার পরও গোটা বিষয়টি নিয়ে রাগ পুশে রেখেছিলেন হরিয়ানার বাসিন্দাদের একাংশ। তারই প্রমাণ মিলল এবার। সেই ঘটনার প্রায় আট মাস পর দায়ের হয় এফআইআর।
হরিয়ানার হিসারের এক আইনজীবী যুবরাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। হাঁসি থানায় বিশ্বকাপজয়ী তারকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ১৫৩এ, ২৯৫, ৫০৫ ধারায় মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের ৩ (১) (r) ও ৩ (১) (s) ধারাতেও কেস দায়ের করা হয়। সেই মামলাতেই এদিন যুবরাজ গ্রেপ্তার হলেও শেষপর্যন্ত আগাম জামিন থাকায় মুক্তি পান।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই এই সংক্রান্ত মামলায় হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। এদিন তাই তদন্তে সাহায্য করতেই হিসারে এসেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এবং উকিল। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরই কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় যুবরাজকে। তারপর আগাম জামিনের কাগজের ভিত্তিতে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
গত বছর ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে একটি ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেসনে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার। সেখানেই তাঁর একটি মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। অভিযোগ, অন্যান্য ক্রিকেটারকে নিয়ে মশকরা করতে গিয়ে দলিতদের অসম্মান করে বসেন যুবি। জাত-পাত নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে কড়া সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে।