দশমী, শাস্ত্র মতে পুজো শেষ। তবে কয়েক জনের কাছে পুজো এখনও রয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেটা দুর্গা পুজো নয়। সেটা ভোট পুজো৷ আর এই পুজোয় সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছেন তৃণমূলের দুই প্রার্থী। খড়দহের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও দিনহাটার উদয়ন গুহ। দু’জনকেই একই বছরে, কয়েক মাসের ব্যবধানে ভোটের লড়াইয়ে নামতে হয়েছে। এবার পুজো শেষে সেই ভোট পুজোর তোড়জোড়।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর আসন থেকে জেতেন। তারপর বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁকে লড়তে পাঠানো হয়েছে খড়দহ। যেখানে তৃণমূল জিতেছিল বাংলার বিধানসভা ভোটে। অপর জন মাত্র ৫৭ ভোটে হেরে যান নিকটতম বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কাছে। সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক অবশ্য বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেন৷ আপাতত তিনি কোচবিহারের সাংসদই।
আপাতত দুর্গা পুজোর আবহে দুই দীর্ঘ দিনের রাজনীতিবিদ চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন।অনেকেই বলেন ক্লাসের প্রথম ছাত্রকে পরীক্ষার আগে পড়তে হয় না। সারা বছর ধরেই সে পড়াশোনা করে৷ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা সেই রকমই বলে জানান তার সতীর্থরা৷ গত জুন মাস থেকেই তিনি পড়ে আছেন খড়দহে। নিয়ম করে প্রতিদিন সেরেছেন জনসংযোগ। তবে পুজো একটা আলাদা অধ্যায়। যেখানে অনেক মানু্ষকে একসাথে পাওয়া যায়৷ তাই জনসংযোগ সেরে নেন সব নেতা-নেত্রীরাই।
শোভনবাবু জানাচ্ছেন, ‘সারা বছর আমাদের দল মানুষের পাশে থাকে। আমাদের নতুন করে সময় ধরে জনসংযোগ করতে হয় না। খড়দহের প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছেছি। আগামী দিনেও সেই প্রচেষ্টা জারি থাকবে’। পুজোয় খড়দহ জুড়ে জনসংযোগ সারলেও বাদ দেননি পুজোর উপাচারে। তাই অষ্টমীতে এসে হাজরা পার্কে আরতি করেছেন।
আর একজন হলেন দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী উদয়ন গুহ। গত নির্বাচনে মাত্র ৫৭ ভোটে তিনি হেরে যান। গত বারের ফল বদলে দিতে এবার উঠে পড়ে নেমে পড়েছেন উদয়ন গুহ। মহাষষ্ঠী থেকে মহা নবমী অবধি তিনি দৌড়ে বেরিয়েছেন একাধিক পুজো মন্ডপে। তবে কোথাও কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করেননি। কখনও নিছক আড্ডা দিয়েছেন। কখনও আবার দর্শনার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। আজ একাদশী থেকে ফের তিনি শুরু করে দিচ্ছেন প্রচার। পুরোদস্তুর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন রাজনৈতিক কাজে।