মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৯৪ সালে ফুলনদেবীর বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নিয়েছিলেন তাঁর বাবা মুলায়ম সিং যাদব। তিনিই ফুলনদেবীর রাজনীতিতে আসার পথ পরিষ্কার করেন। পরে ২০০১ সালে খুন হতে হয়েছিল ডাকাতরানিকে। এবার জালাউন জেলায় ফুলনদেবীর বাড়িতে গেলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ সিং যাদব। বুধবার রাতে তাঁর মা মুলা দেবীর সঙ্গে দেখা করে আশীর্বাদ চান তিনি।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে ২০২২ সালের ভোটে বড় ফ্যাকটর হয়ে উঠছেন ফুলনদেবী। কারণ নিষাদ পার্টি নামে উত্তরপ্রদেশের একটি ছোট দল দাবি করেছে, তারা ফুলন দেবীর উত্তরসুরী। অন্যদিকে বিকাশশীল ইনসান পার্টি নামে অপর একটি দলের বক্তব্য, নিষাদ জাতের প্রত্যেক পরিবারের উচিত, বাড়িতে ফুলন দেবীর মূর্তি রাখা। এই পরিস্থিতিতে মুলা দেবীর সঙ্গে দেখা করে অখিলেন প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করবেন। ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে ফুলনদেবীর মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবেন।
উল্লেখ্য, অখিলেশের ১৯৯৬ সালে মির্জাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন ফুলনদেবী। ১৯৯৯ সালে তিনি ফের নির্বাচিত হন। মির্জাপুর এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দলিতদের মধ্যে ফুলনদেবী এখনও জনপ্রিয়। উচ্চবর্ণের অত্যাচারে তিনি ডাকাত দলে যোগ দেওয়া ফুলনের গুলিতে নিহত হন ঠাকুর সম্প্রদায়ের ২০ জন। বর্তমানে ফুলনদেবীর প্রশংসা করে অখিলেশ নিষাদ ভোট টানতে চাইছেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।