দেশের প্রত্যেক কোনাতে পৌঁছে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষত সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যে তৃণমূল লড়াই করবে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরেই সমস্ত রাজ্যে তৃণমূল সংগঠনকে মজবুত করতে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপিশাসিত একাধিক রাজ্যে বিশেষ নজর শাসকদলের। ত্রিপুরা, গোয়া সহ একাধিক রাজ্যে সংগঠনকে মজবুত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল।
ত্রিপুরাতে পায়ের তলাতে মাটি শক্ত করেছে তৃণমূল
আর সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যে ত্রিপুরাতে পায়ের তলাতে মাটি শক্ত করেছে তৃণমূল। গোয়াতেও একেবারে তৃণমূল স্তরে কাজ করছেন অভিষেক এন্ড কোং। সে রাজ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেকদিনই সে রাজ্যে কংগ্রেসে ভাঙন ধরাচ্ছে দিদির দল। এই অবস্থায় এবার বিশেষ নজর উত্তরপ্রদেশেও।
যোগী রাজ্যেও এবার সংগঠনকে মজবুত করতে মরিয়া তৃণমূল। ইতিমধ্যে সে রাজ্যে নিজেদের অফিস খুলেছে শাসকদল। ২১ শে জুলাইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য সেখানে শোনানোর ব্যবস্থাও করা হয়। তৃণমূল সাংসদরাও কয়েকবার সেখানে গিয়েছেন। কিন্তু এবার সংগঠনে নজর তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের।
নিয়ম মেনেই উমা ফিরছেন কৈলাশে! গঙ্গার দূষণ রুখতে ঘাটে অভিনব ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার নিয়ম মেনেই উমা ফিরছেন কৈলাশে! গঙ্গার দূষণ রুখতে ঘাটে অভিনব ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার। উত্তরপ্রদেশের দক্ষ সংগঠক তো বটেই, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদও বটে।
কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সৈনিক ত্রিপাঠী। বংশ পরম্পরাতে তাঁরা এই দল করে এসেছেন। উত্তরপ্রদেশের মাটিতে কংগ্রেসের যাওয়া শক্ত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ললিতেস পতি ত্রিপাঠীর। দীর্ঘদিন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কাজও করেছেন। শুধু তাই নয়, একটা সময়ে বিধায়কও ছিলেন তিনি।
তবে সেপ্টেম্বর মাসে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে হিঠাত করেই ইস্তফা দিয়ে দেন ললিতেস। আর এরপর থেকেই গুঞ্জন কংগ্রেস ছাড়তে পারেন তিনি। সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনে তাঁকে দেখা যায়নি। এমনকি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিক্ষোভেও ছিলেন না। ফলে স্পষ্ট দল যে খুব শিঘই ছাড়বেন তিনি।
‘বিজয়া দশমী ও দশেরার শুভেচ্ছা সকলকে’, টুইট মোদী-মমতার’বিজয়া দশমী ও দশেরার শুভেচ্ছা সকলকে’, টুইট মোদী-মমতার।
তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন ললিতেস পতি ত্রিপাঠী
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ললিতেস পতি ত্রিপাঠীর। যদিও এখনও সরকারি ভাবে কোনও তরফেই এই বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তবে আলোচনা নাকি একপ্রকার হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। বিজেপির কাছে কার্যত প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। এই অবস্থায় ললিতেস পতি ত্রিপাঠীর মতো সংগোঠককে সামনে রেখে লড়াই করতে চায় তৃণমূল।
সাক্ষাৎকারে ললিতেস পতি ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কিছু বলার মতো অবস্থাতে আমি নেই। তবে একটা কথা অবশ্যই বলব যে আগামিদিনে আমি যে দলেই যাব না কেন সেই দল এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
শুধু তাই নয়, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধেও লড়াই করার মতো ক্ষমতা যে দলের কাছে আছে সেই দলের সঙ্গে থাকবেন বলে স্পষ্ট করেছেন ললিতেস পতি ত্রিপাঠী। তবে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক মোড় কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর রাজনৈতিকমহলের।