গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের ছবি তুলে ধরতে মণ্ডপসজ্জায় হাওয়াই চটি ব্যবহার করেছিল পুজো কমিটি। আর এতেই ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত’ হানা হয়েছে বলে অভিযোগে তুলে দমদম পার্ক ভারতচক্র পুজো কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এক আইনজীবী। সেই মামলার শুনানিতেই বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, দমদম পার্ক ভারতচক্রের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এই মুহূর্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।
গতকাল বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতে দাখিল মামলা। তাই পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত হাইকোর্ট কোনও পদক্ষেপ করবে না। এই মামলায় ২৫ অক্টোবরের মধ্যে পুলিশকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে ঘটনাস্থল নিজে ঘুরে না দেখে মামলা দায়ের করায় সমালোচিত হয় মামলাকারীর ভূমিকাও।
গতকাল মামলার শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল স্পষ্টভাবে জানান, মণ্ডপের দুটি অংশ রয়েছে। মূল মণ্ডপে রয়েছে মাতৃপ্রতিমা। সেখান থেকে ১১ ফুট দূরে রয়েছে এই দেওয়াল যা নিয়ে বিতর্ক। থিমের ভাবনা থেকেই জুতো রাখা হয়েছে সেখানে। অ্যাডভোকেটের দাবি, মূল মণ্ডপে বা তার আশপাশেও নয়, প্রায় ১১ ফুট দূরত্বে একটি অস্থায়ী কাঠামোতে জুতো ব্যবহার করে দেওয়া হয়েছে থিমের বার্তা। যেহেতু মূল মণ্ডপের সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই ফলে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতের কোনও প্রশ্নই নেই বলে দাবি করেন আইনজীবী।
অভিযোগ প্রসঙ্গেই আলোচনায় আসে ভারতচক্রের এবারের থিম ধান দেবো না, মান দেব। তাতে জুতোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। সৌম্যেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, জালিয়ানওয়ালাবাগ থেকে শুরু করে যে কোনও গণ আন্দোলনের ওপর আক্রমণ নেমে আসলেই সেই স্থানে প্রচুর জুতো পড়ে থাকতে দেখা যায়। উত্তরপ্রদেশেও যখন আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর আক্রমণ হচ্ছিল সেখানেও মৃত কৃষকদের জুতো পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।