হঠাৎই গোয়ায় শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। ইতিমধ্যেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও সদলবলে কলকাতায় এসে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ফালেরিও বলে দিয়েছেন, তাঁর পাখির চোখ বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আর সেই কাজে তাঁর ভরসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরই মধ্যে দলের তরফেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, আগামী বছর গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে লড়াই করবে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে গোয়ার এক নির্দল বিধায়কও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।
গোয়ার নির্দল বিধায়ক প্রসাদ গাওনকার জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলকে সমর্থন করবেন। কারণ একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফেলেইরো এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপত্র ডেরেকে ও’ব্র্যায়েনের সঙ্গে তিনিও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর ভাই সন্দেশ গাওনকার এদিনই যোগ দিয়েছেন ঘাস-ফুল শিবিরে।
এরপরই প্রসাদ গাওনকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন্দ্রে ‘টু ম্যান শো’ শেষ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার জন্য প্রসাদ গাওনকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিষেক লিখেছেন, ‘একজন কৃষক সন্তান যখন দেশের অগ্নিকন্যা, যিনি কেন্দ্রের ‘টু ম্যান শো’ শেষ করতে চলেছেন, তাঁকে সমর্থন করেন, তা অত্যন্ত আনন্দের।’
এদিকে, বৃহস্পতিবারই গোয়ায় যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তার আগেই গোয়ার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। তবে, গেরুয়া শিবিরের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।