আমেরিকা সফরে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে লখিমপুর নিয়ে মুখ খুললেন নির্মলা সীতারমণ। জানালেন, কৃষক হত্যার ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয়। কিন্তু একই সঙ্গে জুড়ে দিলেন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির বিভিন্ন অশান্তির ঘটনাকে। এমনকি, এই প্রেক্ষিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকেও বিঁধতে ছাড়েননি তিনি।
নির্মলার মন্তব্য, পণ্ডিত মানুষেরা অনেক সময়েই নিজেদের পছন্দ-অপছন্দের মধ্যে বন্দী হয়ে থাকেন। আসল তথ্য বিশ্লেষণ করেন না। বিজেপি শাসিত রাজ্যের নয় বলে অনেক ক্ষেত্রে একই ধরনের হিংসার ঘটনাকে সামনে আনা হয় না। এই প্রবণতা ‘উদ্বেগের’।
হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুলের মোসাভর-রহমনি সেন্টার ফর বিজ়নেস অ্যান্ড গভর্নমেন্ট আয়োজিত এক আলোচনাচক্রে আমন্ত্রিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে অধ্যাপক লরেন্স সামার্স নির্মলাকে বলেন, ‘অধ্যাপক অমর্ত্য সেন-সহ অনেকেই ভারতে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশেষত ভারতে মোদী সরকার মুসলিমদের প্রতি যে ব্যবহার করছে, তা আমাদের চেনা ভারত এবং আমেরিকার সব মানুষকে অন্তর্ভুক্তির নীতির মধ্যে দেওয়াল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
জবাবে নির্মলা বলেন, ‘অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে আমরা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, পণ্ডিত মানুষেরা নিজেদের ভাল-মন্দের পছন্দের বৃত্তে বন্দি। বাস্তব তথ্য নয়, তাঁরা নিজেদের পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে মত প্রকাশ করেন।’ তাঁর আরও বক্তব্য, অমর্ত্যের মতো মানুষেরা নির্বিঘ্নে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যান। কোথায় কী ঘটছে দেখেন। তাঁদের তথ্যনির্ভর ব্যাখ্যা সরকারের কাজে লাগে। নির্মলার কথায়, ‘কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি এক জিনিস। আর তথ্যভিত্তিক ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কেউ যদি নির্দিষ্ট ধ্যানধারণার ভিত্তিতে মন্তব্য করেন তা হলে তো কিছু বলার নেই।… কেউ যদি জেগে থেকে ঘুমের ভান করেন, তা হলে তো তাঁকে জাগানো সম্ভব নয়।’