বিএসএফকে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত। বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে এবার এমনই মন্তব্য করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে সীমান্তের ভেতরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পাঞ্জাবের বিখ্যাত স্বর্ণমন্দিরই ওয়াঘা সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাঞ্জাব সরকারের আশঙ্কা, বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির ফলে অমৃতসর, তরণ তারণ ও পাঠানকোট জেলায় পুলিশের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব দেখা দেবে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে বলেছেন, ‘সীমান্তের ভেতরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে তল্লাশি চালানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে সরাসরি আঘাত হানা হয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, অবিলম্বে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করুন।’ পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুখজিন্দর রণধাওয়াও বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করছি। তারা রাজ্য সরকারের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চায়। ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করাই তাদের উদ্দেশ্য। পাঞ্জাবের মানুষ এসব সহ্য করবেন না।’
অন্যদিকে, পুলিশের এক পদস্থ কর্তাও বলেছেন, ‘বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। বিএসএফের কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া। অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় বোঝা গিয়েছে, তারা যথাযথভাবে সীমান্ত পাহারা দিতে পারে না।’ পুলিশকর্তার মতে, বিএসএফকে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার ফলে স্থানীয় পুলিশ ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত দ্বন্দ্ব দেখা যেতে পারে। সীমান্তরক্ষীরা তল্লাশি অভিযানে এলে অনেকেই আপত্তি করবেন। সীমান্তরক্ষীরা সীমান্তের ফাঁড়িগুলির আশপাশে তল্লাশি চালাতে পারে। কিন্তু তাদের হাতে যে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে তারা রাজ্য সরকারের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে।