কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে এতদিন টালবাহানা চলছিল। শেষে বরিস জনসন সরকার এই ভ্যাকসিনে অনুমতি দিলেও ভারতীয়দের ব্রিটেনে এলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই নীতি নিয়ে তীব্র আপত্তি উঠেছিল। কারণ অধিকাংশ ভারতীয়ই এই টিকার ডোজ পেয়েছেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোভিশিল্ড টিকাই বেশি দেওয়া হচ্ছে। অবশেষে চাপের মুখে কোয়ারেন্টাইন নিয়ম শিথিল করল ব্রিটেন। করোনা টিকা কোভিশিল্ডের জোড়া ডোজ নিয়ে ইংল্যান্ডে যাওয়া ভারতীয়দের আর নিভৃতবাসে থাকতে হবে না। এমনই জানিয়ে দিলেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এলেক্স অ্যালিস। ১১ অক্টোবর অর্থাৎ আগামী সপ্তাহ থেকেই এই নিয়ম চালু হয়ে যাচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন নিয়ে কেন্দ্রের চাপের পর দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এই নিয়ম শিথিল করল ব্রিটেন, মত ওয়াকিবহাল মহলের। ব্রিটেনের নতুন ঘোষণা ভারতের বড় জয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু) করোনা টিকা কোভিশিল্ডকে মান্যতা দিলেও ব্রিটেন-সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ভারতীয়দের প্রবেশের পর কোয়ারেন্টাইনের কড়াকড়ি জারি হয়েছিল। এমনকী টিকা জোড়া ডোজ থাকলেও, ইংল্যান্ডে নামার পর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পালটা ভারতও ব্রিটিশ খেলোয়াড়-সহ অন্যান্যদের ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যাপারে কড়া নিয়ম জারি করে। ফলে উভয়েই একে অপরের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। গত ৪ অক্টোবর থেকে ভারত এই নিয়ম কঠোরভাবে বাস্তবায়িত করে। তার কয়েকদিনের মধ্যেই কোয়ারেন্টাইন নিয়মে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এলেক্স অ্যালিস টুইটবার্তায় জানান, কোভিশিল্ড অথবা ব্রিটেনের অনুমোদিত অন্য যে কোনও টিকা নিয়ে যে ভারতীয়রা ব্রিটেন যাচ্ছেন, তাঁদের আর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। বিমানবন্দরে নামার পর টিকাকরণের সার্টিফিকেট দেখালেই হবে। ১১ অক্টোবর ভোর থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।