মহালয়ার দিন ত্রিপুরায় গঠিত হয়েছে নয়া কমিটি। স্টিয়ারিং ও যুব কমিটির সদস্য করা হয়েছে ত্রিপুরার ভূমিপুত্রদের। তাঁদের নিয়েই আজ বিকেলে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। নয়া কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছে তাঁদের মাধ্যমে দলের সংগঠনকে মজবুত ও আরও শক্তিশালী করতে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে। তা নিয়েই আজ বিকেল ৫টায় এই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেবেন অভিষেক।
ত্রিপুরায় গঠন করা হয়েছে স্টিয়ারিং কমিটি। ত্রিপুরার নেতা সুবল ভৌমিককে সেই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়াও সাংসদ সুস্মিতা দেবের পাশাপাশি আশিষ লাল সিংহ সহ পুরনো নেতাদের অনেকেরই স্থান হয়েছে এই কমিটিতে। তবে কমিটি গড়ে বসে থেকে লাভ নেই বলে মত তাঁদের। তাই ত্রিপুরায় সংগঠন শক্তিশালী করতে এবার কর্মীদের প্রশিক্ষণের পথে ঝুঁকছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দফায় দফায় তৃণমূল নেতারা ত্রিপুরায় গিয়েছেন। তাঁদের হাত ধরে একাধিক ব্যক্তি যোগ দিয়েছেন ঘাস ফুল শিবিরে৷ কিন্তু এই সব যোগদানকারীরা কী বার্তা দেবেন মানুষের কাছে? তারই হাতেখড়ি শুরু হচ্ছে এবার।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলায় একাধিক নয়া প্রকল্পের সূচনা হয়েছে৷ এই সব সামাজিক প্রকল্পের লাভ সমাজের সমস্ত স্তর অবধি পৌছে যায়। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প। তৃণমূল ত্রিপুরায় সরকার গঠন করলে সেখানেকার মানু্ষও এই ধরনের সমস্ত সুবিধা পাবে বলে জানাচ্ছে তৃণমূল। তাই কর্মী প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে যাতে ত্রিপুরার মানুষকেও এই সব প্রকল্প ও তার সুবিধা বোঝানো সম্ভব হয়।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ই যে বিজেপি বিরোধী শক্তির একমাত্র মুখ তা প্রচারের আলোয় আনা হয়েছে। বাংলার ভোটে বিজেপি তাঁর কাছে পরাস্ত হয়েছে এই বার্তা দেওয়া হবে। মানুষের দুয়ারে গিয়ে সময় করে বুঝিয়ে এই প্রচার চলবে বলেই মত নেতাদের।