একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরেই ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে বিপ্লব রাজ্যে সংগঠন তৈরি এবং প্রসারে নজর দিয়েছে দল। ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে নতুন রাজ্য কমিটি। আর সেই কমিটিই এবার শুরু করে দিচ্ছে প্রতিদিন যোগ দেওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় গঠন করা হয়েছে স্টিয়ারিং কমিটি। সুবল ভৌমিককে সেই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া সাংসদ সুস্মিতা দেবের পাশাপাশি আশিষ লাল সিংহ-সহ পুরনো নেতাদের অনেকেরই স্থান হয়েছে এই কমিটিতে। এবার সংগঠন শক্তিশালী করতে এবার কর্মীদের প্রশিক্ষণের পথে ঝুঁকছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় দফায় দফায় একাধিক নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন ঘাস ফুল শিবিরে৷ তাঁরা মানুষের কাছে পৌঁছে কী বার্তা দেবেন, এবার তারই হাতেখড়ি শুরু হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলায় একাধিক নয়া প্রকল্পের কাজের সূচনা হয়েছে৷ এই সব সামাজিক প্রকল্পের লাভ সমাজের সমস্ত স্তর অবধি পৌছে যায়। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প। তৃণমূল সরকার গঠন করলে, ত্রিপুরার মানু্ষও এই ধরণের সমস্ত সুবিধা পাবে বলে জানাচ্ছে তৃণমূল। তাই কর্মী প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে এই সব প্রকল্প ও তার সুবিধা বোঝাতে।
একই সাথে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ই যে বিজেপি বিরোধী শক্তির একমাত্র মুখ তা প্রচারের আলোয় আনা হয়েছে। বাংলার ভোটে বিজেপি তার কাছে পরাস্ত হয়েছে এই বার্তা দেওয়া হবে। মানুষের দুয়ারে গিয়ে সময় করে বুঝিয়ে এই প্রচার চলবে বলেই মত নেতাদের। সাংসদ সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, ‘আমরা ঘরে বসে থেকে রাজনীতি করতে চাইনা। মানুষের কাছে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেটা পূরণ করতে ব্যর্থ বিজেপি৷ আর পাশের রাজ্যে মানুষের কাছে মমতা বন্দোপাধ্যায় কিভাবে একাধিক সুবিধা পৌছে দিচ্ছেন তার ফারাক বোঝানো হবে।’