আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে চিন্তায় পড়ল ভারতীয় শিবির। আরবের তুলনামূলক মন্থর উইকেটে হয়ে বড় ভূমিকা নিতে পারেন বিস্ময়-স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। প্রথম একাদশে থাকলে ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণে যে বৈচিত্র্য আসবে তা নিয়ে নিশ্চিত বেশির ভাগ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। চূড়ান্ত দলে রয়েছেন তিনি। কিন্তু আদৌ টি২০ বিশ্বকাপে কি খেলতে পারবেন বরুণ? উঠছে প্রশ্ন। কারণ, চোট-আতঙ্ক। ভারতীয় দলের চিকিৎসকরা চিন্তায় রয়েছেন বরুণের হাঁটুর চোট নিয়ে। ১০ই অক্টোবর পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে ভারতের কাছে। তবে হাঁটুতে অসুবিধা থাকলেও তাঁকে দলে রাখার চেষ্টা করছে ভারত। শেষ পর্যন্ত বরুণের হাঁটুর অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আগামী ২৪শে অক্টোবর বাবর আজমের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবেন বিরাট কোহলিরা। সেই ম্যাচে বরুণকে দলে চাইছে ভারত। তিন সপ্তাহের প্রতিযোগিতায় তাঁকে যাতে পুরো খেলানো যায় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “বরুণের হাঁটু খুব ভাল অবস্থায় নেই। ব্যথা রয়েছে ওর। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা না হলে বরুণকে খেলানোর ঝুঁকি নিত না বোর্ড। ১০০ শতাংশ সুস্থ হতে সময় লাগবে ওর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বরুণকে খেলাতে ঠিক মতো শুশ্রূষা প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, এ বারের আইপিএলে এখনও অবধি ১৩ ম্যাচে ১৫টি উইকেট নিয়েছেন বরুণ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ভারতীয় দলের চিকিৎসকরা। পিটিআই-কে বোর্ডের ওই কর্তা বলেন, “যন্ত্রণা কমাতে ওকে নিয়মিত ইঞ্জেকশন নিতে হচ্ছে। টিভিতে ওর যন্ত্রণার বিষয়টা বোঝা না গেলেও ইঞ্জেকশনের রেশ কাটতেই যন্ত্রণা টের পায় ও। এমনকি ফিল্ডিং করার সময়ও ব্যথা টের পায় বরুণ।”
বরুণের কাছ থেকে কী আশা করছে দল? বোর্ডের ওই কর্তার কথায়, “একেবারেই আশা করা হচ্ছে না যে বরুণ জাডেজা বা কোহলির মতো ফিল্ডিং করবে। আর ভাল অধিনায়ক জানে ফিল্ডিং করার সময় কী ভাবে তাঁর দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে মাঠে লুকিয়ে রাখতে হয়।” চলতি আইপিএলে সাবধানে ফিল্ডিং করার পরামর্শওদেওয়া হয়েছে বরুণকে। হাঁটুর চোট যাতে না বেড়ে যায় সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন না হলে ঝাঁপিয়ে বল ধরতেও বারণ করা হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে আইপিএলে ভাল বল করছেন যুজবেন্দ্র চহাল। বরুণ খেলতে না পারলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর কথাও ভাবতে পারে বিসিসিআই।