আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান। ভোর থেকেই গঙ্গার ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। চলছে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ। করোনার বিধিনিষেধ থাকায় জারি কড়া সতর্কতা। তৎপর কলকাতা পুলিশ ও রিভার ট্রাফিক পুলিশ।
বাবুঘাট থেকে বাগবাজার, কলকাতায় গঙ্গার ২৬টি ঘাটে চলছে তর্পণ।হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে চিত্রটা একই। শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাট, হাওড়া ময়দানের তেলকল ঘাট, সালকিয়ার বাঁধাঘাট, ঘুসুড়ির গোঁসাইঘাট, শিবপুরের শিবপুর ঘা- সহ একাধিক ঘাটে এদিন কয়েকশো মানুষের জনসমাগম।
চলছে কড়া নজরদারিও। গঙ্গায় নামানো হয়েছে স্পিডবোট ও নৌকা। পুলিশের পাশাপাশি ঘাটগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। বেশ কয়েকটি ঘাটে চলছে ড্রোনের নজরদারিও। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে করা হচ্ছে মাইকিং।
শাস্ত্রমতে দেবীপক্ষের আগের কৃষ্ণা প্রতিপদে মর্ত্যধামে নেমে আসেন পিতৃপুরুষরা ৷ অপেক্ষা করেন উত্তরসূরীদের কাছ থেকে জল পাওয়ার৷ মহালয়ার দিন অমাবস্যায় তাঁদের উদ্দেশে জলদানই তর্পণ৷ পৌরাণিক কাহিনিতে কথিত আছে, পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশে জলদান করা হলে, তাঁরা তৎক্ষাণাৎ গ্রহণ করে আর্শীবাদ করেন। এভাবেই পূর্ব পুরুষদের তৃপ্ত করা হয়। পুকুর থেকে নদী। যে কোনও জলাশয়ে তর্পণ করার রীতি আছে।