অনুব্রত মণ্ডলের অনুরোধে বোলপুরে একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অনুমতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো কাজও চলছিল। তবে, সেই কলেজ বেআইনি বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সে প্রসঙ্গে মন্তব্য় করতে গিয়ে সরাসরি বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদেরই নিশানা করলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত। মঙ্গলবার, বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিমবঙ্গের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে একটি সম্মেলনে সামিল হন অনুব্রত মণ্ডল।
সেখানেই তিনি বলেন, “আমি দিদির কাছে আবদার করেছিলাম বিশ্বভারতীর মতো একটা মেডিক্যাল কলেজ আমার চাই। সেই কলেজে ছেলেমেয়েরা যাতে পড়তে পারে। আমার মেয়েকে বিশ্বভারতীতে পড়ানোর খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু, পড়ানো হয়নি।” তারপরেই খেদ প্রকাশ করে তৃণমূল নেতা বলেন, “অবশ্য এখন বিশ্বভারতীর যা অবস্থা! ওখানকার ছেলেমেয়েরা যেভাবে নেশা করছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে আত্মহত্যা করতেন।” কার্যত, বিশ্বভারতীতে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের অবসান হয়নি এখনও। বারবার বিভিন্ন সময়ে বিতর্কে নাম জড়িয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এদিন মেডিক্যাল কলেজ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেই বিরোধেই ফের সুর চড়ান অনুব্রত। তিনি আরও বলেন, “বোলপুরের ওই মেডিক্যাল কলেজটা আমার স্বপ্ন। দিদিকে বলেছিলাম। দিদি অনুমোদন দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন তখন কলেজ হবেই। কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।”