পুজোর পরই কি খুলছে রাজ্যের স্কুল? সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্কুল খোলার ব্যাপারে আরও একধাপ এগোল বিকাশ ভবন। বিভিন্ন জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল মেরামতির জন্য ১০৯ কোটি টাকার প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। এর আগে লকডাউন ও আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের সার্ভে করেছিল বিকাশ ভবন।
জেলাশাসকদের চিঠি দেয় বিকাশ ভবন। করোনা আবহে দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ ছিল স্কুল। স্কুল সারাতে কত টাকা লাগবে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের খরচের তালিকা পাঠাতে বলল বিকাশ ভবন। ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল সেটা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এরই মধ্যে সেই তালিকা হাতে পেয়ে গিয়েছে বিকাশ ভবন। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হল।
অগাস্টেই স্কুল খোলা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “পুজোর পরই স্কুল খুলবে রাজ্যে। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। পুরো স্কুল স্যানিটাইজ করে তারপর তা খোলা হবে। তবে তা হবে যদি তৃতীয় ঢেউ না আসে। তৃতীয় ঢেউ যদি ভয়ঙ্কর না হয়।
এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এখন বাংলার অবস্থা ঠিকই আছে। ১ শতাংশের আশেপাশে সংক্রমণ। তবে আমরা চাই সকলে ভাল থাকুন। কিন্তু মহারাষ্ট্র, কেরলে যে ভাবে প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে, জানি না কাল কী হবে। আজ বলতে পারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের তরফে গত মাসেই একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে পিএমওতে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, অক্টোবরেই চরম আকার ধারণ করতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
শিশুদের ক্ষেত্রে যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকবে, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার বিষয়ে একটা সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
আমফান-ইয়াস ও কোভিড গ্রামের দিকের অনেক স্কুলভবনেরই ক্ষতি হয়েছে। কোনও কোনও স্কুলের জানলা-দরজা ভেঙেছে ঝড়ের দাপটে। কোথাও আবার বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরেছে। স্কুল খোলার পর কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর প্রশাসন। তাই তা সারাতে কত টাকা লাগতে পারে, তা জানতে আগেই গুগল ফর্মের মাধ্যমে বিকাশ ভবন একটা আপডেট দিয়ে রেখেছিল।
এবার বিকাশভবন জেলাশাসকদের কাছ থেকে সেই আপডেট নিতে চাইছে। বিকাশভবন সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির মধ্যেই এই তালিকা নিয়ে নিতে চাইছে। ১৫ সেপ্টেম্বর এই তালিকা জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেক্ষেত্রে পুজোর পর স্কুল খোলার সম্ভাবনা আরও জোরাল হচ্ছে বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সংক্রমণ ১ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আজ ঠিক থাকলেও আগামিকাল কী হবে তা নিয়ে এ ভাবে বলা সম্ভব নয়। সব ঠিকঠাক থাকলে ভাইফোঁটার পরই রাজ্যে স্কুল খোলা হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।