সোমবার বিকেল ৪টের মধ্যেই নারদ মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিককে দেখা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে একাধিকবার বিধানসভা অধ্যক্ষের তলব এড়িয়ে যায় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের তলব করার অধিকার নেই বিধানসভার অধ্যক্ষের। এ বিষয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
তবে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা আজ বিকেল ৪টের মধ্যেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিবিআই আধিকারিককে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত মনে করছে, এই ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়ার আগে বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে একবার দেখা করা উচিত সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টোর সময়।
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ এজলাসে নারদ মামলার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। প্রাথমিকভাবে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী যথা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্রের নাম উল্লেখ আছে চার্জশিটে, তাছাড়াও আছে প্রাক্তন আইপিএস এসএমএস মির্জার নামও। ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁদের সমনও পাঠানো হয়েছে।
নারদ মামলায় অভিযুক্তরা যেহেতু রাজ্যে মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি, তাই সরাসরি তাঁদের নোটিস না পাঠিয়ে বিধানসভার স্পিকারের মারফৎ ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইডির পাঠানো সমন গেছে বিধানসভার স্পিকারের কাছে। যাতে তিনি সেই নোটিস পাঠিয়ে ইডি দফতরে নেতা-মন্ত্রীদের হাজিরা দিতে বলেন। কিন্তু বিধানসভা কর্তৃপক্ষ তা পাঠাতে অস্বীকার করেন। তা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
বিধানসভার স্পিকারের যুক্তি, প্রিভেনশন অফ কোরাপশন আইন ১৯ (১) অনুসারে বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে গেলে বিধানসভার স্পিকারের অনুমোদন নেওয়ার দরকার হয়। সেটা নেওয়া হয়নি। তাঁর বক্তব্য, বিধানসভাকে বাদ দিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসা হচ্ছে যা সঠিক নয়। জনপ্রতিনিধিদের চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে, সিবিআই ও ইডি তা লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কেন এমন করা হল তা জানতে চেয়ে সিবিআই ও ইডি দু’পক্ষকেই তলব করে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ।