রবিবার যোগী রাজ্যের লখিমপুর খেরি জেলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের গাড়ি আটকানোর জন্য রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের সেই জমায়েতের ওপরেই গাড়ি চালিয়ে দেন মন্ত্রীর ছেলে। আর তারপরেই মারদাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। চার কৃষক নিহত হন। এরপরই সোমবার ভোরে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পথেই তাঁকে আটকে দেয় যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। এ নিয়েই এবার রাহুল গান্ধীর টুইট, প্রিয়াঙ্কাকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই তাঁকে আটকানো হয়েছে। প্রিয়াঙ্কাকে উদ্দেশ্য করে রাহুল বলেন, প্রিয়াঙ্কা, আমি জানি তুমি থামবে না। তাঁরা তোমার সাহস দেখে ভয় পেয়েছে।
কংগ্রেস একটি টুইট করে বলে, প্রিয়াঙ্কাকে সীতাপুর পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস কর্মীদের সেখানে জড়ো হতে আহ্বান জানিয়েছে দল। কংগ্রেসের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কাকে ঘিরে আছেন পুলিশকর্মীরা। দৃশ্যতই উত্তেজিত প্রিয়াঙ্কা বলছেন, ‘আপনারা যাঁদের খুন করেছেন, তাঁদের তুলনায় আমার জীবন মূল্যবান নয়। আমাকে আটকানো হয়েছে কেন? আমার নামে কি ওয়ারেন্ট আছে?’ ক্রুদ্ধ প্রিয়াঙ্কাকে এ-ও বলতে শোনা যাচ্ছে, আমায় জোর করে ভ্যানে তোলা মানে কিডন্যাপ করা। আমায় গ্রেফতার করার আগে পরোয়ানা নিয়ে আসুন। এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।
পরে প্রিয়াঙ্কাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে থানা ঘেরাও করেন কংগ্রেস কর্মীরা। দীপিন্দর সিং হুডা, আরও পাঁচ কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা পুলিশকর্মীদের বলেন, ‘ওয়ারেন্ট নিকালো, অর্ডার নিকালো, নেহি তো ম্যঁয় ইহাঁ সে নেহি হিল রহি হুঁ।’ প্রিয়াঙ্কার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন দীপিন্দর হুডা। তিনি পুলিশকর্মীদের ধমক দিয়ে বলেন, ‘আপনারা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটকাচ্ছেন কেন?’ এরপরে দেখা যায়, পুলিশ ঠেলতে ঠেলতে হুডাকে গাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। হুডা তখন চেঁচিয়ে বলেন, আমি নিজের চোখে দেখেছি, পুলিশ প্রিয়াঙ্কাকে আঘাত করেছে। আমি সাক্ষী দেব।