বাংলায় ২০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল তারা। কিন্তু একুশের ভোটে বাংলায় ব্যাপক ভরাডুবি ঘটে গেরুয়া শিবিরের। মাত্র ৭৭ আসনেই থেমে যেতে হয় তাদের। ইতিমধ্যেই বিধায়কদের দলত্যাগের ফলে তা ৭১-এ নেমে এসেছে। তবে একুশের নির্বাচনের পরে উপনির্বাচনেও শিক্ষা পেল বিজেপি। কারণ ভবানীপুরের উপনির্বাচন ছাড়াও সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরও প্রায় শূন্য হাতে ফিরিয়েছে। আর এর ফলে বাংলায় সংগঠন জোরদার করা দূর অস্ত। পরপর হারের রেকর্ড গড়ে মনোবল আরও ভাঙছে বিজেপির।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি একুশের বিধানসভা ভোটে এন্টালি থেকেও পরাজিত হয়েছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে তার ব্যবধানও ছিল ৫৮ হাজার। অন্যদিকে, জঙ্গিপুরে বিজেপি দ্বিতীয় স্থান দখল করলেও, সামশেরগঞ্জে বিজেপি নেমে গিয়েছে একেবার তৃতীয় স্থানে। তবে একদা শাসকের চেয়ারে বসে থাকা বামেদের অবস্থা আরও খারাপ। তিনটি কেন্দ্রে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রার্থীদের।
সামশেরগঞ্জে ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, বিজেপি প্রার্থী মিলন ঘোষ পেয়েছেন মাত্র ১০ হাজার ৭৭৭ ভোট। তাঁর চেয়ে বেশি ভোট ঝুলিতে ভরেছেন কংগ্রেসের জইদুর রহমান। ফলে সামসেরগঞ্জে জইদুর দ্বিতীয় স্থানে। এবং বিজেপি যথারীতি তৃতীয়। আবার জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন জিতেছেন ৯২ হাজার ৬১৩ ভোটে। অর্থাৎ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সুজিত দাস এতগুলো ভোটই কম পেয়েছেন। ফলে বলাই বাহুল্য যে বাংলা থেকে ক্রমশই সাফ হওয়ার পথে পদ্ম।