আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। আর তাতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বেই যে লড়বে তারা, তা আগেই জানিয়েছিল কংগ্রেস। সেই মতো আগামী ১০ তারিখ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে মহা সমাবেশ করে উত্তরপ্রদেশে দলের নির্বাচনী প্রচারের সূচনা করবেন সোনিয়া কন্যা। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সাজ সাজ রব হাত শিবিরে। তবে সেই কর্মসূচীর মুখেই রাজ্যের বুন্দেলখন্ডের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ দলীয় নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক গয়াদীন অনুরাগী, বিনোদ চতুর্বেদী, মাহোবার মনোজ তেওয়ারির সঙ্গে সমাজবাদী পার্টিতে (সপা) সামিল হলেন।
ইতিমধ্যে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক তথা সংখ্যালঘু মুখ ইমরান মাসুদও অখিলেশ যাদবের দলের দিকে পা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, রাজ্যে বিজেপি হারাতে একমাত্র সক্ষম সপা-ই। সব দলেরই তাদের হাত ধরা উচিত। এমনকী মাসুদ এও বলেছেন, যাবতীয় কঠিন লড়াই সত্ত্বেও প্রিয়াঙ্কা দলের অনুকূলে ভোট টানতে ব্যর্থ হচ্ছেন! ঘটনাচক্রে মাসুদ আগে ছিলেন সপাতেই। সম্প্রতি তাঁকে এআইসিসির সচিব করে দিল্লী ইউনিটের চার্জ দেয় কংগ্রেস। সেই তিনিই প্রিয়াঙ্কায় আস্থা রাখতে পারছেন না।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, মাসুদ ও এক জাঠ নেতা দল ছেড়ে সপায় যাওয়ার তোড়জোড় করছেন। মাসুদ অবশ্য এসব নেহাত জল্পনা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, রবি বা সোমবার তিনি জাঠ নেতাকে নিয়ে অখিলেশের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন। যদিও কংগ্রেসের মুখ আগেই পুড়েছে জিতিন প্রসাদের মতো হেভিওয়েট নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মন্ত্রী হওয়ায়। সূত্রের খবর, কংগ্রেসে আর স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না, তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না, এমন অভিমানেই দল ছাড়লেন অনুরাগী, চতুর্বেদী, তেওয়ারিরা।