বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জেতা বিজেপি ইতিমধ্যেই নেমে দাঁড়িয়েছে ৭১-এ। এখন আশঙ্কা, অদূর ভবিষ্যতে না ছয়ের ঘরে চলে যায় বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা। সেই আশঙ্কা যেন আরও বেড়ে গেল। পরিষদীয় বৈঠকে গরহাজির থাকলেন ছয় বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খড়্গপুর সদরের বিধায়ক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের চিন্তার বড় কারণ হচ্ছে তিনি এক সময়ে তৃণমূলের সক্রিয় ছিলেন। বিজেপি-তে যোগ দিয়েই প্রার্থী হন এবং ভোটে জেতেন।
সদ্যই রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বিধায়কদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি তো বটেই, ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সেখানে হিরণের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনার পিছনে আরও কারণ রয়েছে। কারণ, এক সময় খড়্গপুর সদরের বিধায়ক থাকা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপের সঙ্গে হিরণের সম্পর্ক ইদানীং ভাল নয় বলেই বিজেপি-র অন্দরের খবর। তবে কি তিনি দলবদল করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে বিধানসভায় বিজেপি-র মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘হিরণকে নিয়ে এমন জল্পনার কোনও কারণ নেই। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন দক্ষিণ ভারতে গিয়েছেন। সেটা দল জানে। পরিষদীয় দলকেও তিনি সেটা জানিয়েছেন’।
হিরণ ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন না আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, ইংরেজবাজারের শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, দার্জিলিংয়ের নীরজ জিম্বা, কোচবিহার উত্তরের সুকুমার রায়, সোনামুখীর দিবাকর ঘরামি। মোট ছ’জন। এর মধ্যে ধরা হয়নি কৃষ্ণ কল্যাণীকে৷ বাকিদের নিয়ে কি চিন্তিত বিজেপি? মনোজ বলেন, ‘এঁদের কাউকে নিয়েই চিন্তার কোনও কারণ নেই। শুক্রবার নতুন রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দলের পক্ষে। সেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন অগ্নিমিত্রা। বাকিরাও শারীরিক অসুস্থতার কথা আগেই জানিয়ে বৈঠকে আসেননি’।