মেলেনি কোনো সুরাহা। কেন্দ্রীয়ভাবে ন্যূনতম মজুরির হার স্থির করা দূর করতে এখনও ব্যর্থ মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন কেন্দ্রের উল্লিখিত বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারপার্সন। ফলত আবার এই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়তে হচ্ছে শ্রমমন্ত্রককে। নতুন কমিটিকে আরও তিন বছরের সময়সীমা দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানা গিয়েছে শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে। দেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ন্যূনতম মজুরির হার স্থির করতে কি আদৌ সিরিয়াস কেন্দ্রের মোদী সরকার? স্বাভাবিকভাবেই অভিজ্ঞ মহলে ঘুরছে এমন একাধিক প্রশ্ন।
দেশজুড়ে বেকারত্ব, ন্যূনতম মজুরির মতো একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করছে বিরোধীরা। আর ঠিক সেইসময়ই কেন্দ্র জানিয়েছে, বিশেষ করে করোনাকালে যাঁরা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের পুনরায় কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করবে শ্রমমন্ত্রক। যার পোশাকি নাম দেওয়া হচ্ছে ‘ডিজিসক্ষম’। মাইক্রোসফট ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে কর্মপিপাসু তরুণ-তরুণীদের প্রধানত ডিজিটাল স্কিল বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবে অ্যাডভান্স কম্পিউটিংও। তবে কর্মসংস্থান ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকার যতই নতুন নতুন চমক নিয়ে আসুক না কেন, বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণ নেই।
উল্লেখ্য, শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ন্যূনতম মজুরির হার স্থির করার লক্ষ্যে মাস চারেক আগেই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিল শ্রমমন্ত্রক। এর মাথায় বসানো হয়েছিল ইনস্টিটিউট অব ইকনমিক গ্রোথের (আইইজি) অধ্যাপক অজিত মিশ্রকে। সরকারি সূত্রের খবর, সেই অজিত মিশ্রই আচমকা পদত্যাগ করেছেন বিশেষজ্ঞ কমিটি থেকে। ইস্তফা দিয়েছেন উল্লিখিত বিশেষজ্ঞ কমিটির আরও একজন সদস্য। যার ফলে সম্পূর্ণ নতুন কমিটি গঠন করতে হচ্ছে শ্রমমন্ত্রককে। আর এই প্রক্রিয়া যত বিলম্বিত হবে, তত দেরি হবে ন্যাশনাল মিনিমাম ফ্লোর ওয়েজ তৈরির ক্ষেত্রে। এই ঘটনাই উদ্বেগ বাড়িয়েছে মোদী সরকারের। যদিও এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি শ্রমমন্ত্রক।