শহর ও শহরতলির নিকাশি জলের একটা বড় অংশই কেষ্টপুর ও বাগজোলা খাল দিয়ে বয়ে যায়। কিন্তু পলি ও আবর্জনা জমার ফলে কমেছে এই দুই খালের বহন ক্ষমতা। যার ফলস্বরূপ দিনকয়েকের প্রবল বর্ষণে জল-যন্ত্রণার মধ্যে দিন কেটেছে নিউটাউনবাসীর। বৃষ্টি কমলেও জল নামার লক্ষণ ছিল না। আর তাই এই সমস্যা থেকে সুরাহা দিতে এবার নতুন খাল কাটার ভাবনা নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির। সেই খাল দিয়ে শহরতলির জল বার করে কেষ্টপুর খালে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।
মূলত বাগজোলা খালের ওপর ভরসা নিউটাউনবাসীর। সেই খালও দীর্ঘদিন পরিস্কার করা না হওয়ায় আবর্জনা ও পলি জমে গেছে। ফলে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে খাল উপচে পড়ে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি পুনরায় যাতে না হয় সেই দিকে নজর দিয়ে নতুন খাল কাটার ভাবনা এনকেডিএ-এর। এই খালটি ভিআইপি রোডের পাশ দিয়ে গিয়ে কেষ্টপুর খালের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া দিয়ে যাবে, যা সুখবৃষ্টি হাউজিং কমপ্লেক্স ও এলিটা গার্ডেন ভিস্তার পেছন দিয়ে কাটা হবে।
এক কর্মকর্তার কথায়, ‘এই লিঙ্ক খাল কেষ্টপুর খালের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব। নতুন কাটা খালে স্লুইস গেট থাকবে। যার ফলে জল প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’ জানা গিয়েছে, এই ৪.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি ছাড়াও এনকেডিএ আরও একটি খাল কাটার কথা ভাবছে। যা সেক্টর ফাইভ বারবার সমান্তরালভাবে যাবে। এই খালের মধ্যে দিয়ে জলাভূমির জল নিকাশন করা হবে। এই খাল কাটা নিয়ে রাজ্য সরকারের সেচ ও নিকাশি দফতরের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে আলোচনা করা হবে বলে জানান হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন।