আসন্ন উপনির্বাচনে উত্তরবঙ্গের দিনহাটা আসনটি এবার তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আসনটি পুনরুদ্ধারে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে ঘাসফুল শিবির। আর সেই লক্ষ্যে মহালয়ার আগেই বৈঠকে বসতে চলেছে জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব। ভোটের দিন ঘোষণা হতেই দিনহাটায় তৃণমূল রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। দলের জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান, সমস্ত শাখা সংগঠনের পদাধিকারী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বৈঠক করবেন। বৈঠকেই দিনহাটা উপনির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা হবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সব ব্লকের নেতৃত্বকে দিনহাটা উপনির্বাচনে কাজে লাগানো হবে।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, “আমরা প্রার্থীর নাম ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছি। ৬ই অক্টোবরের আগেই আমরা জেলায় দলের পদাধিকারী ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসব। কোচবিহার জেলায় এবার একটিমাত্র আসনেই নির্বাচন। তাই আমরা সর্বস্তরের নেতৃত্ব সেখানে ঝাঁপাব। ওই বৈঠকে আলোচনা করে নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করব। নির্বাচনের প্রতীক সামনে আসলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকে না।”
পাশাপাশি, তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, দলের প্রার্থী যেই হোন না কেন, দলের প্রতীককে সামনে রেখে তৃণমূল স্তর থেকে ভোটকে ঘরে তোলার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে জেলার নেতৃত্বকে তারা এ কাজে লাগাতে চাইছে। ক্ষেত্র বিশেষে আলাদা আলাদা দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কীভাবে তাঁদের কাজে লাগানো হবে, তা আসন্ন বৈঠকে আলোচনা হবে। কোচবিহারে জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথবাবুর অফিসেই ওই বৈঠকটি হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ফব’ও নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে নিজেদের দিকে ভোট টানার জন্য কৌশল ঠিক করছে। জেতা আসনটি ফের নিজেদের দখলে রাখার জন্যও তৎপরতা শুরু করেছে বিজেপিও।