আর ৫ দিন পর থেকে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করবে। এমনই খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৬ অক্টোবর থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে শুরু করবে। বাংলায় সাধারণত বর্ষা পুরোপুরি মিটতে মিটতে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ হয়।। এবছর তা কিছুটা পেছোবে বলেই আশঙ্কা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় গুলাব শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি আবারও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যদিও এর অভিমুখ পাকিস্তানের দিকে। এর ফলে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টি কমবে। আপাতত বিহার ও সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের উপর সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অবস্থান করছে। তার একটি অক্ষরেখা রয়েছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে অন্ধ্র উপকূল পর্যন্ত।
এই সপ্তাহে রবিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস মালদা ও উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে। এছাড়াও ভারী বৃষ্টি হবে দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।
তবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে। আগামী দুদিন তাপমাত্রা বাড়বে জলীয়বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়বে।
এই সপ্তাহে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা রয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলের আরব সাগরে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ আগামী ২৪ ঘণ্টায় সৌরাষ্ট্রের কচ্ছে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের বঙ্গোপসাগরের জন্য কোনও সতর্কবার্তা নেই।
পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টি হবে বিহারেও। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি বাড়বে আসাম মেঘালয়-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও। দক্ষিণের অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাডু, কেরালা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টি পড়বে আগামী কয়েকদিন।
কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৩.৮ মিলিমিটার।