বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ধীর গতিতে চলছে ভবানীপুরের উপনির্বাচন। বেলা বাড়তে অবশ্য কিছুটা গতি দেখা গেল ভোটদানে। সকাল থেকেই পথে-পথে ঘুরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সেনাপতি ফিরহাদ হাকিম। সেই সূত্রেই ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের আরেক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূলের ওই দুই নেতাকে নজরবন্দি করার দাবি তুলেছে বিজেপি। যদিও গেরুয়াশিবিরের এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “আমি জীবনে কখনও জেনেশুনে অন্যায় কাজ করি না। ভোট প্রভাবিত করার কোন ইচ্ছা আমার নেই। আমি শুধুমাত্র আমার অফিসে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। সকাল থেকে কোন বুথের সামনে দাঁড়াইনি। আনঅ্যাথিকাল কোন কাজ আমি করি না। আজকেও করিনি।”
পাশাপাশি, বিজেপি নেতাদের, বিশেষত অর্জুন সিংয়ের নাম উল্লেখ করে ফিরহাদ বলেন, “ওরা ডন, আমি দুর্বল। আমি মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষের মাঝে থাকি। হেরে যাবে জেনে বিজেপি অপপ্রচার করছে।” একই বক্তব্য মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও। এদিন সকাল থেকেই একাধিক অভিযোগ তুলছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সকাল-সকালই তিনি অভিযোগ করেন, ভবানীপুরের বিধানসভার অন্তর্গত ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ জ্যাম করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। প্রিয়াঙ্কা একথা বললেও ওই বুথে ভোট শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই।
প্রিয়াঙ্কার অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, “এখানে মদন মিত্রের এলাকা বলে কিছু আছে নাকি? এই পুরোটাই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা। ভবানীপুরে রিগিং হয় না কখনও। এখানে বুথ জ্যামও হয় না কোনওদিন। মদন মিত্রের এলাকা তো কামারহাটি। তিনি কামারহাটির বিধায়ক। কিন্তু সেখানে তো আর কোনও ভোট হচ্ছে না।” এরপরই ফিরহাদ পাল্টা অভিযোগ করেন, “অকারণে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুরে কোথাও কোনও জায়গায় কোনও সমস্যা নেই। প্রতিটি জায়গায় মাইক্রো অবজারভার রয়েছে, সিসিটিভি রয়েছে, পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছে মানুষ। অকারণ এইসব অভিযোগ করে লাভ হবে না। হেরে যাওয়ার আগেই বাহানা তৈরি করে রাখছে বিজেপি।”