খোদ মোদী রাজ্যের মুন্দ্রা বন্দরে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ মাদকভর্তি কন্টেনার। ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) যা বাজেয়াপ্ত করেছে। জানা গিয়েছে, কন্টেনারে আফগানিস্তান থেকে পাঠানো ‘আধা প্রসেসড ট্যালক স্টোন’ ছিল। তা ইরানের বান্দার আব্বাস বন্দর থেকে কন্টোনারে লোড করা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় নথিভু্ক্ত সংস্থা আশি ট্রেডিং কোম্পানি ওই মাদক আমদানি করে হাসান হুসেন লিমিটেড নামে একটি সংস্থা থেকে। আফগানিস্তান থেকে ইরান হয়ে তা মুন্দ্রা বন্দরে আসে।
ডিআরআই এ ব্যাপারে আশি ট্রেডিংয়ের মালিকদের ধরে আটজনকে গ্রেফতার করে। ২৯৯০ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত হওয়ার ব্যাপারে এবার ডিআরআইকে গুজরাতের বিশেষ মাদক, নেশার সামগ্রী সংক্রান্ত বিশেষ আদালত তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে বলল, এহেন আমদানির ফলে মুন্দ্রা আদানি বন্দর, তার ম্যানেজমেন্ট ও কর্তৃপক্ষ কোনও মুনাফা পেয়েছে কিনা। মুন্দ্রা আদানি পোর্টের সিইওকে সংবাদ সংস্থা ইমেল পাঠিয়েও জবাব পায়নি।
২৬ সেপ্টেম্বরের রায়ে অতিরিক্ত জেলা বিচারক সি এম পওয়ার কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা তথা মূল অভিযুক্তদের অন্যতম রাজকু্মার পি-র রিমান্ডের আবেদনের শুনানির সময় বলেন, এধরনের কনসাইনমেন্ট বা কন্টেনার বিদেশি রাষ্ট্র থেকে ভারতে পাঠানো বা আমদানি করা, মুন্দ্রা আদানি বন্দরে আসা নিয়ে বন্দরের কর্তৃপক্ষ ও অফিসারদের কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখা দরকার। রাজকুমারই ভারতীয় কোম্পানি ও ইরানের রপ্তানিকারীর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে ডিল করিয়েছিলেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষ কী করে এমন কনসাইনমেন্ট আমদানির ব্যাপারে পুরোপুরি অন্ধকারে ছিলেন, সেটাও জানা জরুরি বলে জানিয়েছে আদালত। এ ধরনের কন্টেনার, অ্যাসাইনমেন্ট স্ক্যান, পরীক্ষা করার কী ধরনের পদ্ধতি, প্রক্রিয়া বিদেশে ও মুন্দ্রা বন্দরে মেনে চলা হয়, সেটাও ডিআরআইকে খতিয়ে দেখতে বলেছে আদালত। অন্য এজেন্সিগুলি তদন্ত করলেও ডিআরআইয়ের আসি ট্রেডিং, মুন্দ্রা আদানি বন্দরের পরিচালন কর্তৃপক্ষ, কর্তাদের ভূমিকা সহ সব দিক খতিয়ে দেখা উচিত, বলেছে আদালত।
ডিআরআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা মাদক একাধিক নানা ইস্যু সামনে এনেছে। যেমন, অন্ধ্রের বিজয়ওয়াড়া থেকে অনেক দূরে, তবুও কেন ওই অ্যাসাইনমেন্ট গুজরাতের মুন্দ্রা আদানি বন্দরের নামে নথিভুক্ত করা হয়, সেখানে পৌঁছয়। উল্লেখ্য, গত ২ বছরে গুজরাতের সমুদ্র এলাকা বিশেষতঃ কচ্ছের সমুদ্র পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো বিদেশি রাষ্ট্র থেকে কোটি কোটি টাকার বিপুল পরিমাণ মাদক, হেরোইন আমদানি, চোরাচালানোর ঘাঁটি হয়ে উঠেছে।