বাংলায় ঘূর্ণিঝড় গুলাবের সঙ্গেই নেমে এসেছে দুর্যোগ। টানা দু’দিন ধরে চলছে ক্রমাগত বৃষ্টি। এরই মধ্যে রাত পোহালেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রয়েছে জেলার নির্বাচনও। এই অবস্থায় তাই সবরকম প্রস্তুতি বাড়িয়ে তুমুল তৎপর নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই দুর্যোগের জন্য কয়েক দফা ব্যবস্থা নিল তারা। ইভিএম মেশিনকে নিরাপদ রাখার জন্য ট্রান্সপারেন্ট পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হবে। যাতে ইভিএম মেশিন জলেনা ভিজে যায়। প্রত্যেক ভোট কর্মীকে দেওয়া হচ্ছে রেনকোট। প্রত্যেকটি বুথে সেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বৃষ্টিকে মাথায় রেখে। ডিসি আরসি সেন্টার থেকে যাতে ভোট কর্মীরা নিরাপদে ভোট এর যাবতীয় সামগ্রী নিয়ে যেতে পারেন তার জন্যই এই ব্যবস্থা কমিশনের। এই প্রথম ভোট কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে রেনকোট।
এছাড়া, যে জায়গাগুলিতে জল জমে সেই জায়গাগুলো ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। কেএমসি সঙ্গে যৌথ পরিদর্শনের মাধ্যমে। সেই জায়গাগুলিতে সব সময় থাকবে পাম্প জল বের করার জন্য। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এবং সিভিল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট দুটি বোটের ব্যবস্থা রাখছে যাতে তিন ফুটের উপর জল জমলে এই বোটগুলি ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি আলাদা করে দুটো উদ্ধারকার্য জন্য পরিবহন ব্যবস্থা ও মজুত করে রাখা হচ্ছে। ৯৮টি বুথে জল জমতে পারে তা পরিদর্শন করে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুরসভা। তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা। সিএসসিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যাতে কোনও ভাবে ইলেকট্রিক সংক্রান্ত কোনও সমস্যা না হয় বৃষ্টির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে তাঁদের।
লক্ষ্য রাখা হচ্ছে নিরাপত্তার বিষয়ও। উপনির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের একশো মিটারের মধ্যে যাতে কোনও নিরাপত্তারক্ষীর হাতেও বন্দুক বা আগ্নেয়াস্ত্র না থাকে, সেই ব্যাপারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রের দু’শো মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা লাগু হয়েছে। এখানে পাঁচজনের বেশি জড়ো হতে পারবে না। কোনওরকম পাথর, অস্ত্র, বাজি বা বিস্ফোরক নিতে পারবে না সঙ্গে। অবাধ এবং সুষ্ঠু উপনির্বাচন নিশ্চিত করতে বাড়তি সচেতন নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ওয়েব-কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অর্থাৎ, সমস্ত বুথে কীভাবে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন, কত শতাংশ ভোট হচ্ছে, সবটাই দিল্লীতে বসে নজরদারি করতে পারবেন কমিশন কর্তারা।