কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর আর কোনও আশা তিনি দেখছেন না৷ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়ে এমনই দাবি করলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো৷
প্রায় চল্লিশ বছর কংগ্রেসে ছিলেন ফেলেইরো৷ গোয়ায় দু’ বার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি৷ গোয়ার কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন৷ ৭০ বছর বয়সি ফেলেইরো সোমবার বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি কংগ্রেসও ছাড়েন৷ সম্ভবত বুধবার তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি৷
কংগ্রেস ছাড়ার কথা জানিয়ে সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন ফেলেইরো৷ সেখানেই তিনি জানান, ‘দলের অধঃপতন আটকাতে কোনও তাগিদ বা আশা দেখছেন না তিনি।’ ফেলেইরো হতাশার সঙ্গে আরও জানিয়েছেন, যে দলের জন্য তিনি আত্মত্যাগ করেছিলেন এবং লড়াই করেছিলেন, এখনকার কংগ্রেসের সঙ্গে তাকে তিনি মেলাতে পারছেন না৷
খনও সরাসরি তৃণমূলে যোগদানের কথা না বললেও সোমবার বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন লুইজিনহো ফেলেইরো৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন৷বাংলায় মমতার ফর্মুলা জিতে গিয়েছে।’ ফেলেইরো আরও বলেন, ‘আমি চল্লিশ বছর ধরে কংগ্রেসে রয়েছি, কংগ্রেসি হয়েই থাকব৷ চারটি কংগ্রেসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নরেন্দ্র মোদীকে সবথেকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলেছেন৷ মোদী বঙ্গে দুশো জনসভা করেছেন, অমিত শাহ আড়াইশো৷ তার পরে ইডি, সিবিআই-এর চাপ তো ছিলই৷ এত কিছুর পরেও মমতার ফর্মুলার জয় হয়েছে৷’
সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে ফেলেইরো আরও অভিযোগ করেছেন, ২০১৭ সালে ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি এসেও হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের৷ এর জন্য সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির হস্তক্ষেপ এবং নাম না করে এআইসিসি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দিগ্বিজয় সিং-কে দায়ী করেছেন ফেলেইরো৷ হতাশার সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ২০১৭ সালের পর থেকেই গোয়ায় কংগ্রেস দুর্বল হতে শুরু করে৷