ভবানীপুর উপনির্বাচন হবে নির্দিষ্ট দিনেই, অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরই। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রায় প্রকাশ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, নির্ঘণ্ট মেনেই হবে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন। কলকাতা হাইকোর্ট ভোটের ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ করছে না। আর এরপরই বিজেপিকে বিঁধতে আসরে নেমে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল।
তৃণমূল নেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভবানীপুরে ভোট তো হবেই। ওরা ভয় পেয়েছিল। আজ আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই৷ আমরা প্রথম থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। বাকি কেন্দ্রের উপনির্বাচনও আমরা আগেই চেয়েছিলাম। অবশেষে আজ তার ঘোষণা হল। বিজেপি ৭ কেন্দ্রেই হেরে যাওয়ার ভয়ে এই সব করছে।’
এখানেই থামেননি চন্দ্রিমা। গেরুয়া শিবিরের প্রতি কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘বিজেপির নাটক ফ্লপ করেছে৷ ওদের নাটক কাজে আসবে না। এখানে নাটক করে পারেনি৷ আবার তাই দিল্লিতে নাটক করেছে। সব পুরসভার সাথে কথা হয়েছে। আমরা সব রকম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। ফিরহাদ হাকিমের সাথেও কথা হচ্ছে আমার। জল জমার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ সরব হয়েছিল বিজেপি। এরপরই এ বিষয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, শুধুমাত্র কেন একটি কেন্দ্রেই উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলায় নির্বাচন কমিশনের থেকে হলফনামা চেয়েছিল আদালত। হলফনামা জমা দেওয়ার পর কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে, এদিনের রায়ে ভোট হওয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট কোনও বাধা না দেওয়ায় স্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল।