খড়দহ কেন্দ্র থেকে আসন্ন উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিততে প্রত্যয়ী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তাঁর গলায় পাওয়া গেল আত্মবিশ্বাসের সুর। বললেন, “এবার খড়দহ থেকে লড়াই করব। সেখানেও জিতব।” প্রসঙ্গত, এই বছর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কারণ এই বছর নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষমেশ বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে মমতা হারলেও তার কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হন কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
উল্লেখ্য, এবছর নির্বাচনের সময় থেকেই ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে করোনা পরিস্থিতি। নির্বাচনের আগেই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান খড়দহর তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সামশেরগঞ্জ কেন্দ্র দুটিতেও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দুই তৃণমূল প্রার্থীর। ফলে সেই সময় প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি। তারপর রাজ্যে বিপুল ভোটে জিতলেও আসুন তিনটিতে নির্বাচন অধরা থেকে যায়। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী কোন আসনে ভোট প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থাকলে সরকার গঠনের ছয় মাসের মধ্যে সেখানেই নির্বাচন করাতে হয়। সেই রীতি মাথায় রেখেই আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর রাজ্যের তিনটি আসনে পুনরায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস। দলনেত্রীকে জায়গা ছেড়ে দিতেই সম্প্রতি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল, খড়দহর খালি আসনেই তাকে প্রার্থী করা হতে পারে।