ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রচারের শেষ লগ্নে ঝড় তুলেছে তৃণমূল-বিজেপি উভয়েই। বিজেপি ৮ ওয়ার্ডে ৮০ নেতাকে এনে প্রচার চালিয়েছে। আর তৃণমূল পৌঁছতে চেয়েছে ভবানীপুরের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে। তৃণমূল সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে কলকাতা পুরসভার ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডকে। এই পরিস্থিতিতে প্রচার শেষে কে এগিয়ে, তা নিয়েই পর্যালোচনা শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের চেষ্টা ছিল ভবানীপুরের প্রতিটি বাড়িকে ছুঁয়ে যাওয়া। আর এই অভিযানে নেমে তৃণমূল সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডকে। এই দুই ওয়ার্ডেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী, তখন এই কেন্দ্রে পিছিয়ে থাকতে চায় না তৃণমূল।
ভবানীপুরকে মিনি ইন্ডিয়া বলে ডাকা হয়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই ভবানীপুরে থাকেন। বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের বাস ভবানীপুরে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, এই মিনি ইন্ডিয়া থেকেই ২০২৪-এর লক্ষ্যে মানুষের মন বুঝতে চান। সেদিক দিয়ে এই নির্বাচনের গুরুত্ব আলাদা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। শুধু মমতার এগিয়ে থাকাই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ২৪-এর স্বার্থ।
তৃণমূল চাইছে এই উপনির্বাচনে মানুষের মন বুঝতে। আট ওয়ার্ডে ৫ নেতাকে নামিয়ে তৃণমূল পুরো ভবানীপুর কভার করতে চেয়েছে। পাঁচ নেতার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে সুব্রত বক্সি ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁরা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দেন। ভোট দেওয়ার আহ্বানের পাশাপাশি ২৪-এর লক্ষ্যে মানুষের মনও তাঁরা বুঝতে চান।
ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরেছেন। এর আগে ঘরের মেয়ের বরাবর সাফল্য পেয়ে এসেছেন ভবানীপুরে। এই কেন্দ্র কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফেরায়নি। অতীত রেকর্ড ঘেঁটে দেখলেই তা বোঝা যাবে। রাজনৈতিক মহলও মনে করছে, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।