এবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গের বিশ্ববাংলা স্টেডিয়াম নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এখন উত্তরবঙ্গের বিশ্ববাংলা স্টেডিয়াম রয়েছে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) অধীনে। সাই কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের অধীনে থাকা একটি সংস্থা। অরূপের হুমকি, এই স্টেডিয়াম সাইয়ের থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সোমবার নব মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে অরূপের বক্তব্য, “রাজ্য সরকার নিজ উদ্যোগে জলপাইগুড়িতে বিশ্ববাংলা স্টেডিয়াম তৈরি করে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সেটা সাইকে দেওয়া হয়। কিন্তু, গত পাঁচ বছরে সেখানে কোনও কাজ হয়নি। এখন সেখানে গরু চরে বেড়াচ্ছে। গোটা স্টেডিয়াম জঙ্গল হয়ে গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের তিনজন ক্রীড়ামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এঁদের মধ্যে একমাত্র কিরেণ রিজিজু ছাড়া আর কেউ আমার চিঠির উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। কোনও পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি।”
অরূপের এও জানান, “গত ৯ই সেপ্টেম্বর এখনকার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে চিঠি দিয়েছি। আমরা তিন মাস অপেক্ষা করব। কেন্দ্রীয় সরকার তার মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না নিলে ওই স্টেডিয়াম আমরা ফিরিয়ে নেবে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে নতুন প্রতিভা তুলে আনতে আমরা সাইকে স্টেডিয়াম হস্তান্তর করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই প্রত্যাশা ভেঙে গিয়েছে।” এই স্টেডিয়াম গড়তে ৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্টেডিয়ামের নাম রেখেছিলেন। ফুটবল, কবাডি, স্কোয়াশ, দৌড়, লং জাম্প, হাই জাম্প, টেবিল টেনিস, জুডো ইত্যাদি খেলার পরিকাঠামো ছিল। রাজ্য সরকারের দাবি, সাইয়ের উদাসীনতায় স্টেডিয়ামের যাবতীয় পরিকাঠামো নষ্ট হতে বসেছে। অরূপ বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বরাবর বাংলাকে বঞ্চিত করে এসেছে। বিশ্ববাংলা স্টেডিয়ামকে নষ্ট করে সেই বঞ্চনার প্রমাণ দিয়েছে মোদী সরকার।” ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।