আলাদা করে প্রচারের প্রয়োজন হয় না। তাঁকে দেখলেই জনতা ভিড় করেন। ভবানীপুরে তাই বাইক নিয়ে বেরনো মদন মিত্রকে ঘিরে শনিবারও দেখা গেল সেই উচ্ছ্বাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে এদিন তিনি বেরিয়েছিলেন। সরাসরি প্রচার অবশ্য নয়, ভবানীপুরে একটি ফুড মেলায় যোগ দিতে সেখানে যান কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।
কিন্তু ওই জনতার মাঝেই তিনি সেরে ফেললেন জনসংযোগ। সময় কাটালেন ছোটদের সঙ্গেও। এদিন মদন মিত্রর সঙ্গে ছিলেন ছোটপর্দার দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী তথা রিয়েল লাইফ দম্পতি নীল-তৃণা। ভবানীপুরের বাসিন্দা মদন মিত্র।
আপাতত তিনি কামারহাটির বিধায়ক, কিন্তু তাঁকে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় ভবানীপুরে। ৩০ সেপ্টেম্বর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে দলের অন্যতম জনপ্রিয় নেতার দলের নেত্রী তথা প্রার্থীর হয়ে প্রচার স্বাভাবিক। তা তিনি আগেও করেছেন। শনিবারও আবার অন্য অবতারে কার্যত প্রচারই সারলেন।
পরনের কালো টি শার্ট, চোখে আকর্ষণীয় সানগ্লাস, যা নাকি মদন মিত্রর অতি পছন্দের। শনিবার দুপুরে রোদ ততটা চড়া ছিল না, বরং মেঘলা আকাশই ছিল। আগে দু, এক পশলা বৃষ্টিও হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে ভবানীপুরে দেখা গেল মদন মিত্রকে। বাইক নিয়ে ঘুরলেন বেশ খানিকটা এলাকা। সঙ্গে তাঁর অনুরাগীরা অবশ্য পদব্রজে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মদন জানালেন, এটা ঠিক প্রচার নয়। ছোটদের একটি ফুডমেলা হচ্ছে ভবানীপুরে। তিনি খবর পেয়ে সেই মেলা দেখতে গিয়েছেন। বিধায়কের কথায়, ”আমি বুড়ো হতে পারি, রাজনীতির লোক হতে পারি। কিন্তু বাচ্চারা আমার বড় প্রিয়। আর ওরাও আমাকে ভালবাসে। তাই ওদের আয়োজন করা মেলায় আমি এসেছি।”
এরপরই দেখা গেল, একদল কচিকাঁচা মদন মিত্রর বাইকের সামনে হাজির। আবদার একটাই, সেলফি তুলতে হবে। তিনিও বাইক থামিয়ে সকলের আবদার মেটালেন। উঠল মুহূর্মুহূ সেলফি। ছোটদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে, তাদের আশীর্বাদ করে ফের বাইক সওয়ারি হন মদন মিত্র। মাঝপথে আবার তাঁর সঙ্গে দেখা গেল ছোটপর্দার জনপ্রিয় জুটি নীল-তৃণাকে। হলুদ পোশাকে তৃণা সাহা এবং পান্না সবুজ শেরওয়ানিতে নীল ভট্টাচার্যকে মদন মিত্রর সঙ্গী হিসেবে যেন আলাদা মাত্রা যোগ করল।