২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। ‘ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘শক্তিহীন’ হতে থাকা কংগ্রেসকে জোটে রাখলেও, তাদের হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন ছাড়া যাবে না। দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল কংগ্রেস। এরাজ্যের শাসক দলের বক্তব্য, কংগ্রেসের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে তারা সম্মান করে। কিন্তু এই মুহূর্তে কংগ্রেস পচা ডোবায় পরিণত হয়েছে। আর কংগ্রেসের সেই ঐতিহ্যকে বহন করছে তৃণমূলই।
আসলে, গত কয়েকদিনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসের অপারগতা এবং ব্যর্থতা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতারা এজেন্সির ভয়ে গুটিয়ে রয়েছেন। অভিষেক দাবি করেছেন, কংগ্রেস যেখানে সব জায়গায় বিজেপির কাছে হারছে, সেখানে তৃণমূল বিজেপিকে হারাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস প্রসঙ্গে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। সেটাই ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে দূর করার চেষ্টা করল তৃণমূল।
শনিবার ‘আসল কংগ্রেস’ শীর্ষক সম্পাদকীয় লেখা হয়েছে ‘জাগো বাংলায়’। তবে আসল কংগ্রেস বলতে হাত শিবির নয়, নিজেদেরকেই বুঝিয়েছে তৃণমূল। মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘সিপিএমকে হারাতে কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছিল বলেই তো তৃণমূলের জন্ম’।শুধু তাই নয়, ‘কংগ্রেস আন্দোলেন ব্যর্থ হয়ে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপিকে সুযোগ করে দিচ্ছে’ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে।
এদিনের সম্পাদকীয়তে হাত শিবিরকে তোপ দেগে তৃণমূল আরও লিখেছে, ‘এই কংগ্রেস ইতিহাসে আছে, ঐতিহ্যে আছে। সারা দেশে আজ তারা অপ্রাসঙ্গিক। এর পরেই কংগ্রেসকে পচা ডোবার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেস কর্মীদের শাসকদলে যাওগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূল এখন সমুদ্র’।